শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
গার্ডেনরিচের ঘটনার পর একাধিক নির্দেশিকা জারি করে পুর কর্তৃপক্ষ। অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে নিয়মকানুন আরও কড়া করতে আইন বদলের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এতসবের পরও শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ম ভেঙে নির্মাণের অভিযোগ আসতে আছে। সম্প্রতি ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ আসে। এমনকী, পুরসভার তরফে কাজ বন্ধের নোটিশ দেওয়ার পরেও তা বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ। পুর-বিল্ডিং বিভাগ বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার পরেও ফের কাজ শুরু হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ এলে অনেক ক্ষেত্রে পুরসভা পুলিসকে জানায়। পুলিস গিয়ে সেই নির্মাণ আটকে দেয়। নির্মাণস্থল থেকে শ্রমিকদের থানায় তুলে আনার দৃষ্টান্তও রয়েছে। অনেক সময় আবার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রোমোটারকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়। তারপরও অভিযোগের বহর না কমায় মেয়র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এবার সরাসরি কনট্রাক্টরকে (প্রোমোটার) গ্রেপ্তার করান। কয়েকজনকে থানায় ঢোকালেই এদের টনক নড়বে।’ ফিরহাদ আরও জানিয়েছেন, শহরের নিম্নবিত্ত প্রধান এলাকায় বেআইনি নির্মাণ রুখতে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের প্রচার জোরদার করা হবে। ঠিকা টেনেন্সির ছোট জমিতে বাড়ি বানাতে গেলে নানা আইনি জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়। এসব ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যেই বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ ওঠে। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, এসব এলাকায় বৈধভাবে বাড়ি তৈরির নিয়মগুলি লিখে ব্যানার দেওয়া হবে।
মেয়র আরও জানিয়েছেন, বাড়ির ছাদে রেস্তরাঁ বা রুফটপ ক্যাফেটেরিয়া নিয়ে নয়া আইন আনার ভাবনা রয়েছে পুরসভার। কয়েকদিন আগে পার্ক স্ট্রিটে একটি বহুতলের ছাদ-রেস্তরাঁয় আগুন লাগে। এই ধরনের ঘটনা এড়াতেই আইন আনা হবে। মেয়র বলেন, ‘বাণিজ্যিক ক্ষেত্রের সুরক্ষা বিধি খতিয়ে দেখেই এমন ক্যাফে তৈরির অনুমতি দিক দমকল। এ সংক্রান্ত আইন তৈরির পরিকল্পনা চলছে।’ পুরসভা সূত্রে খবর, বহুতলের ছাদে বাসিন্দাদের সবার অধিকার নিশ্চিত করা, গোটা ছাদ ঘিরে কোনও কাজ না করার মতো বিষয়গুলি আইন করেই নিশ্চিত করা হবে। ইতিমধ্যে যতগুলি ক্ষেত্রে ছাদের উপর রেস্তরাঁ বা এই ধরনের নির্মাণে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তার তালিকা দমকলকে দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। ওইসব ছাদে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবে তারা।