শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
পুরুলিয়া জেলা পুলিস সূত্রের খবর, এবছর প্রায় ৭৫১টি পুজো কমিটিকে পুজোর অনুদান দেওয়া হবে বলে তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। যদিও এখনও আবেদন আসছে। তবে ইতিমধ্যেই চেক বিলি শুরু হয়েছে। বুধবারই টামনা থানার একাধিক পুজো কমিটিকে চেক বিলি করা হয়। জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাত, থানার ওসি তাপস মিশ্র উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বাঘমুণ্ডি, বান্দোয়ান সহ একাধিক থানা এলাকার পুজো কমিটিকে চেক বিলি করা হয়েছে।
বাঁকুড়া জেলার ৯৭৩টি পুজো কমিটি এবার পুজোর অনুদান পাচ্ছে। তবে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে জেলা পুলিসের কর্তারা জানিয়েছেন। বাঁকুড়া জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, আগামী দু’-একদিনের মধ্যেই আমরা চেক বিলির প্রক্রিয়া শুরু করব।
আরামবাগ মহকুমায় এবছর প্রায় ৫৯৪টি পুজো কমিটিকে পুজোর অনুদান দেওয়া হবে। গত বুধবারই আরামবাগ থানার তরফে পুজো উদ্যোক্তাদের চেক বিলি করা হয়। বৃহস্পতিবার গোঘাট থানা এলাকার পুজো কমিটিগুলিকেও চেক দেওয়া হয়েছে। পুজোর সার্বিক সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার বিকেলে গোঘাট থানার একাধিক মণ্ডপ পরিদর্শন করেন পুলিসের পদস্থ আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন আরামবাগ মহকুমা পুলিস আধিকারিক সুপ্রভাত চক্রবর্তী, সার্কেল ইন্সপেক্টর অরূপ ভৌমিক এবং গোঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মধুসূদন পাল প্রমুখ।
এবছর আগাম পুজোর অনুদান দেওয়ায় খুশি পুজো উদ্যোক্তারা। পুরুলিয়ার স্টেশন পাড়া ডাকবাংলো দুর্গাপুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা গোপাল দাস বলেন, অন্যান্যবার এই চেক সাধারণত পুজোর মুখে দেওয়া হতো। কিন্তু, এবার এত আগে টাকা পাওয়ার জন্য পুজো করতে অনেকটাই সুবিধা হবে। আরামবাগ শহরের দৌলতপুর যুব শক্তি নাট্য মন্দির পুজো কমিটির সদস্য মিঠুন পাখিরা বলেন, এবছর অনেক আগেই চেক পেয়েছি। এই টাকায় দুর্গতদের সাহায্য করবে ক্লাব।
পুরুলিয়া জেলার পুলিস সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবার অনলাইনে আবেদন নেওয়া হয়েছিল। অনেক আগে থেকে প্রক্রিয়া শুরু করায় কমিটিগুলির হাতে এত তাড়াতাড়ি চেক তুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।