অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
১৯৭২ সালের ৩১ আগস্ট নবদ্বীপের সরকারি সংস্কৃত মহাবিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়ে ১৯৭৪ সালে সংস্কৃত শিক্ষার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক পণ্ডিত রাজেন্দ্রচন্দ্র তর্কতীর্থ সংস্কৃতের পীঠস্থান নবদ্বীপের পাঁচমাথা মোড়ে ভারতী চতুষ্পাঠী স্থাপন করেন।
প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পর ১৯৯৪ সালে তা সংস্কৃত মহাবিদ্যালয় হয়। ১৯৯৮ সালে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্ত রাষ্ট্রীয় সংস্কৃত সংস্থানের অনুমোদন পায় এই মহাবিদ্যালয়। নিয়মিত বিএ(শাস্ত্রী) এবং এমএ(আচার্য) পড়ানোর কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। অকৃতদার রাজেন্দ্রবাবু তাঁর সারা জীবনের সঞ্চয়ে এই প্রতিষ্ঠানের বীজ বপন করেন। মাত্র তিন কাঠা জায়গার উপর নির্মিত এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় ৬৫০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীও সংস্কৃত নিয়ে পড়াশোনা করছে।
ছাত্র মনজুর আলি শেখ বলেন, ভারতী চতুষ্পাঠী সংস্কৃত মহাবিদ্যালয়ে শাস্ত্রীর সাহিত্য বিভাগে পড়াশোনা করছি। আমি সংস্কৃত ভাষায় কথা বলতে পারি। জেসমিন খাতুন বলেন, আমি ২০১৭ সালে ৭৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে আচার্য অর্থাৎ এমএ ডিগ্রি পাশ করেছি। শিক্ষক হিমাঙ্কর ভট্টাচার্য জানান, এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ৮ জন শিক্ষক ও ৬ জন শিক্ষাকর্মী রয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সংস্কৃত সংস্থানের দেওয়া সামান্য অনুদান এবং ছাত্রছাত্রীদের নামমাত্র টাকায় চলে। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা নামমাত্র সাম্মানিকে কাজ করছেন।