শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
বৈঠক সূত্রে খবর, প্রথমেই লোকসভা ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করা হয়। মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রে উনিশের ভোটে বিজেপির ৪৩ হাজার ও একুশের ভোটে ২৯ হাজার ভোট লিড ছিল। কিন্তু এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপির লিড নেমে গিয়েছে ১১ হাজার ৬৩ ভোটে। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে বৈঠকে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি প্রকাশচিক বড়াইক, জেলা চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা ও রাজ্য সম্পাদক মৃদুল গোস্বামী বার্তা দেন, ভোটে হারলেও মাদারিহাটে দল ধারাবাহিকভাবে ভালো ফল করছে। বিগত লোকসভা ও বিধানসভার ভোটের ফলের তুলনায় এবারের লোকসভা ভোটে মাদারিহাটে দল খুবই ভালো ফল করেছে।
প্রকাশচিক বড়াইক বলেন, এবার লোকসভা ভোটে মাদারিহাটে বিজেপি আমাদের দলের থেকে মাত্র ১১ হাজার ভোট বেশি পেয়েছে। ফলে দলের কর্মী-সমর্থকদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। উপনির্বাচনে আমরাই জিততে চলেছি।
আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনে জেতার পর বিজেপির জেলা সভাপতি মনোজ টিগ্গা মাদারিহাট বিধানসভার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে এখনও উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়নি। এদিন তৃণমূলের প্রস্তুতি বৈঠকে ঠিক হয়েছে এখন শুধু যে অঞ্চলগুলিতে দল বিজেপির থেকে পিছিয়ে আছে সেই অঞ্চলগুলিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাংগঠনিক কাজকর্ম বাড়াতে হবে। অন্যদিকে, আর দুই একদিনের মধ্যে দলের অঞ্চলভিত্তিক বৈঠক হবে।
মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রে ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এরমধ্যে ১০টি পঞ্চায়েত রয়েছে মাদারিহাট ব্লকে। বাকি দু’টি পঞ্চায়েত জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকের সাকোয়াঝোরা-১ ও বিন্নাগুড়ি। লোকসভা ভোটে ১২টি পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ই ছ’টি করে পঞ্চায়েতে লিড পেয়েছে। সার্বিকভাবে বিজেপি বিধানসভায় ১১ হাজারেরও বেশি ভোটের লিড পেয়েছে। এবার বিজেপির লিড পাওয়া পঞ্চায়েতগুলিকে পাখির চোখ করে উপনির্বাচনে ঝাঁপাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। এদিনের উপনির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠকে বিজেপির লিড পাওয়া পঞ্চায়েতগুলিতে দলীয় কর্মীদের মাটি কামড়ে সংগঠন বাড়ানোর দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে।