কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থপ্রাপ্তির যোগ। যে কোনও শুভকর্মের ... বিশদ
মালদহ মেডিক্যাল হাসপাতালের সুপার তথা উপাধ্যক্ষ পুরঞ্জয় সাহা বলেন, সাধারণ রোগীদের জন্য একটি এলএমও ইতিমধ্যেই রয়েছে। আরও একটি এলএমও চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব, এই এলএমও চালু করার চেষ্টা চলছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, এখন কোভিড আক্রান্ত রোগীদের জন্য ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়মিত রিফিল করতে হয়। সমস্যা খুব একটা না থাকলেও পরবর্তীতে রোগীর সংখ্যা বাড়লে সমস্যা হতে পারে। এলএমও বসে গেলে এই সমস্যার মোকাবিলা করা সহজ হবে। ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে জানা গিয়েছে একটি এলএমও’তে প্রায় ২০ কিলোলিটার লিক্যুইড অক্সিজেন থাকতে পারে। ফলে পরিস্থিতির মোকাবিলায় এই এলএমও অত্যন্ত কার্যকরী হবে বলে আশাবাদী চিকিৎসক মহল।
মালদহ মেডিক্যালের ট্রমা কেয়ার ইউনটটিই বর্তমানে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে ২০০টি বেড থাকলেও এখন ওই সংখ্যা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। চিকিৎসকরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর রয়েছেন।
পাশাপাশি মালদহের চাঁচল মাল্টি সুপার স্পেশালটি হাসপাতালেও পৃথকভাবে একটি ১০০ বেডের কোভিড হাসপাতাল তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানা গিয়েছে। ওই হাসপাতালটিতে করোনা চিকিৎসা চালু হয়ে গেলে উত্তর মালদহের কোভিড আক্রান্ত রোগীরা কাছাকাছি চিকিৎসা পাবেন বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা। ইতিমধ্যেই জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র এবং মহকুমা প্রশাসনের কর্তারা এই নতুন কোভিড হাসপাতালের পরিকাঠামো তৈরির বিষয়টি তত্ত্বাবধান করছেন।
তবে এত কিছুর পরেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদা। বাড়িতেই চিকিৎসাধীন থাকা রোগীদের আত্মীয়দের অনেকেরই অভিযোগ, অক্সিজেন পেতে সমস্যা হচ্ছে। তবে মূল সমস্যা হচ্ছে সিলিন্ডারের। যাঁদের কাছে সিলিন্ডার রয়েছে, তাঁদের ওই সিলিন্ডার রিফিল করতে খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু সিলিন্ডার পাওয়াই দায় হয়ে উঠেছে। কিছু ক্ষেত্রে সিলিন্ডার পাওয়া গেলেও মিলছে না রেগুলেটর। ফলে অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের।
অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রির সঙ্গে যুক্ত এক ব্যবসায়ী বলেন, সমস্যা হচ্ছে মূলত দু’রকম। একদিকে যেমন বাইরে থেকে সিলিন্ডারের সরবরাহ খুবই কম পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে, তেমনই আবার অনেকেই প্রয়োজন না থাকলেও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে সিলিন্ডার মজুত রাখতে চাইছেন। এরই জেরে সঙ্কট তৈরি হচ্ছে।