শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
জিতিয়া উৎসব বিহারের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। মায়েরা দীর্ঘদিন ধরেই এই ব্রত পালন করে থাকেন। এটি তিন দিনের উৎসব। আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের সপ্তম থেকে নবম দিনের মধ্যে পালিত হয় এটি। মায়েরা এটি করেন তাঁদের সন্তানের মঙ্গল কামনায়। কিন্তু এই অনুষ্ঠানেই যে এমন ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নেমে আসবে বিহারে তা কে জানত। নিয়মানুযায়ী, এদিন সন্তানদের নিয়ে জলাশয়ে স্নান করতে যান মায়েরা। এবারেও গিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে চলা প্রবল বৃষ্টিতে বিহারের প্রায় সমস্ত নদীতেই জলের স্রোত এখন তীব্র। কয়েকটি জায়গায় আবার বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে জল। সেই স্রোতেই ভেসে গিয়েছে শিশু-সহ অন্যান্যরা। ইতিমধ্যেই কান্নার রোল উঠেছে পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারণ, ঔরঙ্গাবাদ, কাইমুর, বক্সার, সিওয়ান, রোহতাস, সরন, পাটনা, বৈশালী, মুজাফ্ফরপুর, সমস্তিপুর, গোপালগঞ্জ এবং আরওয়াল-সহ একাধিক জেলায়।
মর্মান্তিক এই ঘটনার শোক প্রকাশ করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। মৃতদের পরিজনদের ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়টি জানানো পাশাপাশি তিনি লেখেন, এই মুহুর্তে শোকার্ত পরিবারগুলিকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার নেই। অন্যদিকে সে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের এক কর্তা জানিয়েছেন, এখনএ পর্যন্ত ৪৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। মৃতদের তালিকায় ৭ জন মহিলাও রয়েছেন। নিখোঁজদের উদ্ধার এবং অনুসন্ধানের জন্য ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স এবং স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সেরও সাহায্য চেয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর।