কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
গত ডিসেম্বরে হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যের নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। হারাতে হয়েছে রাজস্থান, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশের গড়। কৃষিপণ্যের কম দামের জন্য কৃষক অসন্তোষে ধাক্কা খেয়েছে মোদির ইমেজ। আর তাই লোকসভা ভোটের আগে অন্তর্বর্তী বাজেটে বেশ কিছু জনমুখী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি। সেই তালিকায় থাকতে পারে সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর্থিক সাহায্য, সুদহীন কৃষিঋণ প্রমুখ। স্বাভাবিকভাবেই এতে দেশের রাজস্ব ঘাটতি কমানোর পরিকল্পনা ধাক্কা খাবে। যা অর্থনীতির জন্য আশঙ্কাজনক। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দেশের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৫.৯ লক্ষ কোটি টাকা। যা জিডিপির প্রায় ৩.৫ শতাংশ। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ৪০ হাজার কোটি টাকা ডিভিডেন্ট হিসেবে সরকারকে দিতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
তিন রাজ্য হারানোর পর ইতিমধ্যে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের স্বার্থে জিএসটিতে ছাড় দিয়েছে মোদি সরকার। সাধারণ তথা উচ্চবর্ণের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর জন্য শিক্ষা ও চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ আইন এনেছেন মোদি। সূত্রের খবর, সেই ধারা বজায় রেখে মূলত কৃষকদের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প ঘোষণা করতে পারেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের দুই পদস্থ কর্তার মতে, এই সম্ভাবনা থাকলেও এখনও স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে অর্থমন্ত্রকের মুখপাত্রকে ইমেল করা হলে কোনও জবাব মেলেনি। তবে, বিজেপির অর্থনীতি বিষয়ক মুখপাত্র গোপালকৃষ্ণ আগরওয়াল সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতির হারের বৃদ্ধি রুখেই আর্থিক নীতি গ্রহণের পক্ষে শাসকদল।
অন্যদিকে, এবারের বাজেট ‘ভোট অন অ্যাকাউন্ট’-এর থেকে দীর্ঘ হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। প্রথম সারির এক ইংরেজি টিভি চ্যানেল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, সাধারণত ভোটের বছরে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ হয়। কেন সেই নীতি থেকে সরে আসা হয় না, তার কোনও প্রকৃত কারণ নেই। আবার বৃহত্তর অর্থনীতিতে সেই বাজেটেও জাতীয় স্বার্থ প্রতিফলিত হয়। কিন্তু, এই মঞ্চ সেই বিষয় আলোচনার জন্য নয়।’ একইসঙ্গে ভোটের আগে জনমোহিনী বাজেটের জল্পনাও খারিজ করে দিয়েছেন জেটলি। তাঁর কথায়, বাজেটের দড়ি টানাটানি ত্যাগ করে এই নীতি থেকে দূরে অবস্থান করে এনডিএ। গত পাঁচ বছরের কাজে আমরা আত্মবিশ্বাসী ও গর্ব বোধ করি। গত কয়েক বছরে দেশের অর্থনীতির পুনরুত্থানে সফল এনডিএ সরকার।