কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
এআইসিসি’র লেটারহেডে লেখা ওই খোলা চিঠি রাহুল পাঠিয়েছেন ‘মিস মমতা ব্যানার্জি, চেয়ারপার্সন, অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস’কে। কংগ্রেস সভাপতি তৃণমূল সুপ্রিমোকে ‘দিদি’ সম্বোধন করে লিখেছেন— মমতাদি’র এই সভার প্রতি আমার সমর্থন রইল। ঐক্যের ওই মঞ্চ থেকে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভারতের একটা বার্তা গোটা দেশের কাছে পৌঁছে দিতে পারব, এই আশা রাখি। মোদি বিরোধী এই জোটের মহাসমাবেশ যে মাটিতে হচ্ছে, সেই বাংলার মানুষকেও কুর্নিশ জানিয়েছেন রাহুল। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, বাংলার মহান মানুষদের প্রশংসা করছি। যাঁরা আমাদের দেশের আদর্শকে রক্ষার জন্য ঐতিহাসিকভাবেই চিরকাল প্রথম সারিতেই রয়েছেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে বাইরে রেখেই লোকসভা নির্বাচনের জন্য জোট করেছেন মায়বতী-অখিলেশ। আবার মমতার সভায় অখিলেশ যেমন স্বয়ং হাজির থাকছেন, তেমনই মোদি বিরোধী ঝাঁঝ বোঝাতে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন মায়াবতীও। এরকম একটা আবর্তে মায়াবতী-অখিলেশ যাঁর প্রতি আস্থা রেখেছেন, সেই মমতাকে পূর্ণ সমর্থন জানানোটা রাহুলের তথা কংগ্রেস হাইকমান্ডের রাজনৈতিক কৌশল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আর সেই কৌশল কার্যকর করতে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের অবস্থানকে কার্যত উপেক্ষা করে মমতাকে মহাজোটের নেত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছেন রাহুল।
মমতাকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রেরও কড়া সমালোচনা করেছেন রাহুল। তাঁর কথায়, মোদি সরকারের ভুয়ো প্রতিশ্রুতি আর মিথ্যা প্রচারে দেশের কোটি কোটি মানুষ আজ বীতশ্রদ্ধ, ক্ষুব্ধ। মমতার ব্রিগেড সমাবেশ প্রসঙ্গে লেখা চিঠিতে কংগ্রেস সভাপতির কৌশলী বার্তা— এসবের সঙ্গেই গোটা দেশে বিরোধী শক্তিও যথেষ্ট সক্রিয়। সেই শক্তিই এখন উজ্জ্বল আগামীর জন্য এগিয়ে চলেছে। যে আগামীতে প্রতিটি পুরুষ, মহিলা ও শিশু সম্মানের সঙ্গে থাকতে পারবে। যেখানে দেখা হবে না কার কী ধর্ম, ধনী নাকি নির্ধন।