শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
স্লোগান উঠছে, জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনায়েড। ন্যায়বিচারের দাবিতে মিছিল পৌঁছে যাচ্ছে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। অথচ, ডিজিটাল এভিডেন্স ছাড়া কোনও তথ্য-প্রমাণই এখনও পর্যন্ত সাজিয়ে উঠতে পারছে না সিবিআই। এদিনও আদালতে টালা থানার প্রাক্তন ওসি ও সন্দীপ ঘোষের মামলার সওয়ালে তারা দাবি করেছে, মোবাইল সহ অন্যান্য সামগ্রীর ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে তারা কিছু কিছু বিষয়ে আলোকপাত করতে পারবে। অথচ, এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ বহু প্রশ্নের উত্তর পর্যন্ত পৌঁছতেই পারছেন না তদন্তকারী অফিসাররা। কেন থানা দেরিতে এফআইআর করল? দেহ তড়িঘড়ি দাহ করা হল কেন? ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার আগেই কীভাবে ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেল? এই সব প্রশ্নই তুলেছে সিবিআই। অথচ, ৪৫ দিন পরও স্পষ্ট জবাব নেই। এদিন অবশ্য আদালতে চাঞ্চল্যকর একটি দাবি তারা করেছে। সিবিআই রিমান্ড লেটারে জানিয়েছে, টালা থানার মধ্যেই ভুয়ো রেকর্ডস তৈরি ও অদলবদল (ক্রিয়েট/অল্টার) করা হয়েছে। দুই অভিযুক্তকে জেরা করে ও পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ থেকে এ ব্যাপারে তারা জানতে পেরেছে। কিন্তু কী সেই নথি? তা অবশ্য প্রকাশ্যে আনেনি এজেন্সি। সূত্রের খবর, এই রেকর্ডসের মধ্যে রয়েছে বাজেয়াপ্ত করা বিভিন্ন সামগ্রী। ঘটনাস্থল থেকে সেইসব পাওয়া যায়নি, অথচ পরে আলাদা করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা কিছু জিনিসের আকৃতি বদলে ফেলা হয়েছে বলেও দাবি তদন্তকারীদের। জিডি এন্ট্রি বুকেও বিভিন্ন অফিসারের যাওয়া-আসার সময় পাল্টে দেওয়া হয়েছে। যাতে সময়-সারণি ঘটনাক্রমের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া যায়। একইসঙ্গে তরুণীর দেহ থেকে সংগৃহীত কিছু সামগ্রী থানাতেই বদলে দেওয়া হয়েছে বলে আদালতে দাবি করেছে এজেন্সি। এভাবেই তথ্য-প্রমাণ লোপাটের যুক্তি সাজাতে চাইছে তারা। থানার অভ্যন্তরে এই ভুয়ো নথি তৈরি ও অদলবদলের অভিযোগে ওসিকে কাঠগড়ায় তুলেছে এজেন্সি।
এদিনই অভিজিৎ মণ্ডল ও সন্দীপ ঘোষের হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। অভিজিৎবাবুর আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা করা হয়েছে, তা জামিনযোগ্য। তাই তিনি জামিনের আবেদন করেন। সিবিআই অবশ্য দু’জনেরই জেল হেফাজতের আর্জি জানিয়ে আদালতকে বলে, দুই অভিযুক্তের মোবাইল ফরেন্সিক পরীক্ষায় গিয়েছে। দু’-একদিনের মধ্যে চলে আসবে। নতুন প্রমাণের ভিত্তিতে জেরার দরকার পড়বে। আর জি করের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও ডিভিআরের ফরেন্সিক রিপোর্ট পাওয়া বাকি। বক্তব্য শোনার পর আদালত অর্ডারে লিখেছে, কেস ডায়েরি দেখে বোঝা যাচ্ছে তদন্ত পুরোদমে চলছে। অভিজিৎ মণ্ডল টালা থানার ওসি ও সন্দীপ চিকিৎসক। তাদের সামাজিক গুরুত্ব আছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্ব্বোচ্চ সাজা হবে, যা বিরল থেকে বিরলতর মামলায় হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে এই দু’জনকে জামিন দেওয়া ন্যায্য হবে না। তাঁদের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।