শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর খড়্গপুর আইআইটির হস্টেল থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফাইজান আহমেদের (২৩) পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি অসমে। সহপাঠীরা দাবি করেছিলেন, ঘটনার কয়েকদিন আগে থেকেই তাঁকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না। ফোনও তোলেনি। পুলিসের দাবি, হস্টেলে ফাইজানের ঘরের ভিতর থেকে তালা লাগানো ছিল। পুলিস এসে ঘরের দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পচাগলা দেহটি মেঝেতেই পড়ে ছিল। পুলিস প্রথম থেকেই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও যুবকের পরিবারের অভিযোগ, র্যাগিং করেই খুন করা হয়েছে তাঁকে। এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় যুবকের পরিবার।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে মামলার শুরু থেকেই আদালতে বেকায়দায় পড়ে পুলিস। রাজ্যের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, গরমের ছুটিতে ফাইজান বাড়ি না গিয়ে হস্টেলেই ছিলেন। চাকরি না পাওয়ার অবসাদ থেকেই তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। আদালতে পুলিস জানায়, ১০টি ট্যাবলেট কিনেছিলেন যুবক। চারটি খেয়েছিলেন। তবে শরীরে কোনও বিষ পাওয়া যায়নি। ফাইজানের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। নতুন করে মতামত জানাতে অবসরপ্রাপ্ত অটোপসি সার্জেন অজয়কুমার গুপ্তকে দায়িত্ব দেন বিচারপতি। এর সঙ্গে আইপিএস অফিসার কে জয়রামনের নেতৃত্বে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশও দেয় হাইকোর্ট।
এরইমধ্যে গত বছর মে মাসে দেহ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হয়। গত ২১ মে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছেন অজয়বাবু। তাতেই এই তথ্য সামনে এসেছে। অজয়বাবু সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, এটা কোনও সাধারণ মৃত্যু নয়। অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে গুলি করা হয়েছে। পড়ুয়ার চোয়ালের কাছে কানের নীচে প্রচুর রক্ত ও ক্ষতচিহ্ন ছিল। এমনকী এইসব তথ্য পুলিসি রিপোর্টে উল্লেখ ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি। ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে আইআইটি কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, আমরা সবসময় চেয়েছি, সত্য সামনে আসুক। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করেছি। মঙ্গলবার মামলার শুনানি। সেখানেই হাইকোর্ট গঠিত সিটের তরফে রিপোর্ট জমা পড়ার কথা।