সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিগৃহীতার বাড়ি মহিষপোতা দাদাপাড়া এলাকায়। সিপিএম কর্মী হিসেবে পরিচিত তিনি। ওই নেতার বিরুদ্ধে তিনি উত্যক্ত করা, শ্লীলতাহানির মতো অভিযোগ করেছেন। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, পার্টি অফিসের মধ্যে তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। ক্যাফেতে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানির পাশাপাশি বারাসতের হোটেলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন ওই নেতা। যাবতীয় অভিযোগ তিনি ৩০ অক্টোবর দলের এরিয়া কমিটির কনভেনার নারায়ন বিশ্বাসকে লিখিতভাবে জানান। এরপর অভিযুক্ত নেতা মহিলাকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেন। অভিযোগ না তুললে ক্ষতি করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। এরপর তিনি চলতি মাসের ২০ তারিখ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক ও জেলা সম্পাদককে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, ‘দলকে জানানোর পর একমাস হয়ে গেলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, বুঝতে পারিনি। উল্টে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দল পদক্ষেপ না করলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হব।’এই ঘটনায় যথারীতি সিপিএমের অন্দরে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তড়িঘড়ি ব্যবস্থার নেওয়ার কথা ঘোষণা হলেও এক্ষেত্রে দল কেন এত নরম, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিপিএম নেতা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বিলকান্দা এরিয়া
কমিটির কনভেনার নারায়ণ বিশ্বাস বলেন, ‘আমি গত মাসের ৩০ তারিখ অভিযোগ পেয়েই জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছি। দলীয় নেতৃত্ব নিয়ম মেনে
পদক্ষেপ করবে।’ সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী বলেন, ‘অভিযোগ দলের ইন্টারনাল কমপ্লেইন কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা তদন্ত করে যা রিপোর্ট দেবে, সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে। কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।’