সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
এদিন বিধায়ক ওই কর্মীদের চিহ্নিত করে সাসপেন্ড করার হুমকি দিয়েছেন। সেই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই ডামাডোল শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক মহলেও এনিয়ে জল্পনা চলছে। সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য বিধায়কের অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে। এদিন দলীয় জনসংযোগ কর্মসূচিতে বিধায়ক কোদালিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি বাসিন্দাদের সামনে পঞ্চায়েত কর্মীদের কাঠগড়ায় তোলেন। তিনি বলেন, ‘পাঁচজন উপভোক্তার নাম আমার কাছে স্থানীয় স্তর থেকে এসেছিল। আমি তা পঞ্চায়েতের সমীক্ষকদের কাছে দিয়ে বিষয়টি জানতে চাই। তাঁরা আমাকে জানান যে ওই উপভোক্তাদের নাম সরকারি তালিকায় নেই। তাই তাঁদের নাম বিবেচিত হচ্ছে না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে মানুষের প্রয়োজনের নিরিখে বাড়ি বণ্টনের কথা বলছেন, সেখানে অনাবশ্যক আইনি জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত কর্মীদের একাংশ ওই কাজ করছেন। তাঁরা রাজ্য সরকারের কর্মী কিন্তু সিপিএমের কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্য। তাই রাজ্য সরকারের প্রকল্প ভেস্তে দিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমি জেলাশাসকের কাছে এর জবাব চাইব। প্রয়োজনে ওই কর্মীদের সাসপেন্ড করতে হবে। প্রকৃত উপভোক্তারা চুঁচুড়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন—এই অবস্থা চলতে থাকলে আমি মানুষকে নিয়ে আন্দোলনে নামব।’ সিপিএম নেতা মনোদীপ ঘোষ বলেন, ‘সরকার সবাইকে বাড়ি দিতে পারবে না। তাই আগে থেকে অজুহাত খাড়া করার কৌশল নিয়েছে।’ তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে জনসংযোগ যাত্রায় বিধায়ককে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছিল। এদিন তিনি ‘বাংলার বাড়ি’ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন। তারপরেই ওই প্রকল্পের সমীক্ষক সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি।