শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
বুধবার রাতে ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দর থেকে ‘আইএ ৪৭৩’ বিমানটি রওনা দেন চিনের গোয়াংঝাউ বিমানবন্দরের উদ্দেশে। গভীর রাতে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ৩০ মিনিটের দূরত্বের আকাশপথ দিয়ে যাওয়ার সময় বিমানের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ে এক যাত্রী। ডেকান আহমেদ নামে ষোলো বছরের কিশোরী বিমানের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তৎক্ষণাৎ তার বাবা, মা খবর দেন বিমান সেবিকাদের। সেইমতো খবর যায় পাইলটের কাছে। বিমানের মধ্যে থাকা এক চিকিৎসক পরীক্ষা করেন ওই কিশোরীর। কিন্তু কিশোরীর হৃদস্পন্দন পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বিমানের পাইলট যোগাযোগ করেন কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে। সেইমতো জরুরি ভিত্তিতে বিমানটি কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের ছাড়পত্র পায়। ওই কিশোরীকে বিমান থেকে নামিয়ে এনে হেলথ চেক আপ রুমে পরীক্ষা করেন কলকাতা বিমানবন্দরে কর্মরত চিকিৎসকরা। তখনও কিশোরী-যাত্রীর হৃদস্পন্দন পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর কিশোরীকে বিমানবন্দর লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে আর জি কর হাসপাতালে। শুক্রবার কফিন বন্দি মৃতদেহ বাগদাদ ফেরার কথা।
বিমানে কিশোরীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা, মা। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, দিল্লি হয়ে বাগদাদ ফিরবেন। সেইমতো এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। দিল্লির প্রশাসনিক ও কূটনৈতিক মহলের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন তাঁরা। তবে কলকাতায় থাকাকালীন সময়ে কিশোরীর বাবা-মায়ের ভাষাগত সমস্যা হচ্ছিল। তাঁরা ইংরেজি সেইভাবে বলতে পারছিলেন না। তাঁদের ভাষা বুঝতেও সমস্যা হয়েছে অনেকের।