শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, সাগ্নিক গোচরণের একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্র। তার বাবা বিদ্যুৎ নস্কর বারুইপুর আদালতের আইনজীবী। মা মামনি নস্কর লক্ষ্মীকান্তপুরের একটি স্কুলের দর্শন বিষয়ের শিক্ষিকা। বিদ্যুৎবাবুরা আদতে জয়নগরের দক্ষিণ বারাসতের বাসিন্দা। তবে বারুইপুরের দত্তপাড়াতে একটি বাড়ি কিনে তাঁরা ৯ মাস ধরে রয়েছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে বিদ্যুৎবাবু বলেন, ছেলে বরাবর মোবাইল ও কম্পিউটারে ভূতের গেম সহ পাবজি খেলত। এর জন্য একবার মোবাইল কেড়েও নিয়েছিলাম। কিন্তু তারপরেও নিজের ঘরে কম্পিউটারে এইসব গেম খেলত। রবিবার দুপুরেও গেম খেলছিল। এরপরে স্বাভাবিকই ছিল। বিকেলে পার্কে গিয়েছিল ঘুরতে। তারপর রাতে রুটি, ডিম খেয়ে নিজের দোতলার ঘরে শুয়ে পড়েছিল। সকালে আমি বাজার গিয়েছিলাম। ওর মা ছেলের ঘরে গিয়ে ডাকাডাকি করেও সাড়া পাচ্ছিল না। পরে আমাকে খবর দেয়। আমি বাড়িতে এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখি, ছেলের ঝুলন্ত দেহ।
বিদ্যুৎবাবু জানান, ছেলে ভূতের গেম খেলত বলে সারাদিন ঘরের দরজা, জানালা বন্ধ রাখতে বলত। শুধু ছাদের দরজা খোলা থাকত। এও বলত, বাবা দেখো, আমি ঠিক ভূতকে মেরে ফেলব। আমরা বারণ করতাম এই সব। পড়াশোনায় ভালোই ছিল আমার ছেলে। কিন্তু ইদানীং পড়ার থেকে কম্পিউটারে এইসব গেমের দিকে বেশি মন দিয়েছিল। স্কুল ছুটি থাকায় দিনরাত কম্পিউটার নিয়ে পড়ে থাকত। আমাকে বোঝাত, অনলাইনে গেম খেলে অনেক টাকা আয় হবে। কিন্তু এই খেলাই যে ছেলের জীবন কেড়ে নেবে, তা ভাবিনি। সাগ্নিকের মামা অসীম মণ্ডল বলেন, গেমের প্রতি একটা আসক্তি এসে গিয়েছিল ভাগ্নের। মাকেও প্রায়ই গেম খেলতে জোর করত। কিন্তু এইভাবে আত্মহত্যা করবে ভাবিনি। প্রতিবেশীরা বলেন, এখানে কারও সঙ্গে তেমন মিশত না সাগ্নিক। তবে খুব ভালো ছেলে ছিল। ছেলেকে বাবা-মা বকাবকি করছেন, এমনও শুনিনি। পুলিস জানিয়েছে, কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। কী কারণে এই আত্মহত্যা, তার তদন্ত চালাচ্ছি আমরা।