গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
কারাদপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, কারারক্ষীদের একাংশের মাধ্যমে বন্দিদের সেলে নেশার দ্রব্য পৌঁছনোর অভিযোগ অনেক দিনের। তা করতে গিয়ে অনেকে ধরাও পড়েছেন। এমনকী যে সমস্ত বন্দি আদালতে যাচ্ছে, সেখান থেকে বেরনোর পর জেলের গাড়িতে ওঠার সময়, তাদের হাতে দেওয়া হয়েছে গাঁজা-সিগারেট। যে কারণে জেলে কড়াকড়ি বেড়েছে। কৌশল বদল করতে শুরু করেছে বন্দিরাও। তারা তাদের পরিবারের লোকজনকে এই কাজে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। কিন্ত কীভাবে? কারাদপ্তরের এক কর্তার কথায়, বন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন পরিবারের লোকজন। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর তবেই দেখা করার অনুমতি মেলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। বিচারাধীন বন্দি ও সাজাপ্রাপ্তদের দেখা করার জন্য আলাদা আলাদা দিন দেওয়া হয়। আর পরিবারের লোকজন যখন বাইরে থেকে আসছে, তখন তাঁরা বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ। যার মধ্যে লুকিয়ে মাদক আনা হচ্ছে। কখনও তা সিগারেটের প্যাকেটের মধ্যে, আবার কখনও ব্যাগের মধ্যে রাখা জামাকাপড়ে বিশেষ খাপে থাকছে। পরীক্ষা করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে তা ধরাও পড়েছে।
বুধবার ওই মহিলা ছেলের সঙ্গে দেখা করতে আসেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। অভিযুক্ত বিচারাধীন বন্দি। অনেকদিন ধরেই ওই জেলে রয়েছে। ওই মহিলার সঙ্গে ছিল তিনটি পেঁপে। গেটে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা জানতে চান, পেঁপে কেন নিয়ে এসেছেন? উত্তরে ওই মহিলা জানান, ছেলে পেটের অসুখে ভুগছে। জেলের ডাক্তাররা তাকে পেঁপে খেতে বলেছে। সেই কারণেই তা নিয়ে এসেছেন। তিনি ভেবেছিলেন ফল হওয়ায় তা পরীক্ষা না করেই ছেড়ে দেবেন ডিউটিরত কারাকর্মীরা। কিন্তু তাঁরা সেই পথে হাঁটেননি। তিনটি পেঁপে পরীক্ষার জন্য ওই মহিলার হাত থেকে নেন। এক কারারক্ষী পেঁপেটি নাড়াচাড়া করতে গিয়ে দেখেন, সেটির মাঝ বরাবর একটি দাগ রয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় সেটি ভালো করে পরীক্ষা করতেই দেখা যায়, ওই জায়গা আঠা দিয়ে জোড়া রয়েছে। দেখা যায়, প্লাস্টিকের মধ্যে রাখা রয়েছে গাঁজার মতো নিষিদ্ধ মাদক। যার পরিমাণ প্রায় ৫০০ গ্রাম। এরপরই ওই মহিলাকে আটক করা হয়।