শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
ইলিশ-মরশুমের গোড়ার দিকে শোনা গিয়েছিল, এবার বাংলাদেশের তরফে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে না। তা নিয়ে মন খারাপ ছিল এখানকার ইলিশপ্রেমীদের। কিন্তু অবশেষে সেই অনুমতি এল। তবে যে সময়ের মধ্যে মাছ আনার অনুমতি দেওয়া হল, তা অনেকটাই কম, দাবি ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদের। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ওই মাছ আনতে হবে এদেশে। অর্থাৎ হাতে ২০ দিনও সময় পাওয়া যাবে না। পেট্রাপোলে শুল্ক দপ্তরের ক্লিয়ারিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আজ বৃহস্পতিবারই প্রতিবেশী দেশ থেকে মাছের ট্রাক ঢুকবে এদেশে। বাংলাদেশি মাছ স্থানীয় বাজারে চলে আসবে শীঘ্রই। তাঁর কথায়, ইলিশ শুধু বাণিজ্যিক পণ্য নয়। এর সঙ্গে যেমন দু’ দেশের আবেগ জড়িয়ে আছে, তেমনই এই মাছ ভারত ও বাংলাদেশের সুসম্পর্কের সেতু নির্ধারকও বটে। তাই মাছ আসায় আমরা খুশি। আমরা আশা রাখছি, পাশাপাশি ভারতও তাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন পণ্য সেদেশে পাঠাবে।
এদিকে, বাংলাদেশের তরফে এদেশে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সে-দেশের হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী ওই মামলায় বিবাদী হিসেবে রেখেছেন বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রককে। এর আগে ওই দপ্তরগুলিতে আইনি নোটিসও দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলি জানাচ্ছে, এই পিটিশনারের বক্তব্য, ভারতের বিস্তীর্ণ সমুদ্র এলাকায় যথেষ্ট ইলিশ পাওয়া যায়। সেসব ভারতের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট। তাই বাংলাদেশ থেকে ভারত যে মাছ আমদানি করে, তা মূলত পদ্মার ইলিশ। এছাড়া ভারতে অবৈধভাবেও বিরাট সংখ্যক ইলিশ ঢোকে। তার ফলে বাংলাদেশের বাসিন্দারাই পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ পর্যাপ্ত পরিমাণে পান না। ইলিশ তাঁদেরই কিনতে হয় উল্টে চড়া দামে। এর ফলে বাংলাদেশের নাগরিকদের সামুদ্রিক ইলিশের উপরই ভরসা রাখতে হয়। সেই মাছ পদ্মার ইলিশের মতো সুস্বাদু নয়। এদিকে, বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী, ইলিশ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য কোনও মাছ নয়। তাই সেই মাছ ভারতে পাঠানোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।