যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
উৎপাদনে কতটা ক্ষতি হয়েছে চা শিল্পে? চা পর্ষদের তথ্য সামনে এনে ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে, গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দার্জিলিং চা উৎপাদিত হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৫৩ লক্ষ কেজি। গতবারের ওই একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৭৫ লক্ষ কেজি কম। অন্যদিকে, অসমে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ২ কোটি ৯ লক্ষ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে, যা গতবারের তুলনায় প্রায় ১ কোটি ৩৫ লক্ষ কেজি কম। উত্তর ও দক্ষিণ ভারত মিলিয়ে দেশে যে চা উৎপাদিত হয়েছে, তা গতবারের তুলনায় ১ কোটি ৩৭ লক্ষ কেজি কম, জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন।
উৎপাদনের পাশাপাশি দামেও মার খেয়েছে চা, এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ওই তিনমাসে কলকাতায় চায়ের যে নিলাম হয়েছে, সেখানে কেজি পিছু দাম পাওয়া গিয়েছে ১৪৬ টাকা ৩৪ পয়সা। গতবার তা ছিল ১৬১ টাকা ৯২ পয়সা। শিলিগুড়িতে নিলামে চায়ের দাম উঠেছে কেজি প্রতি ১২৭ টাকা ৭৫ পয়সা। গতবারের তুলনায় ১৭ টাকা ৪২ পয়সা কম। গুয়াহাটির নিলাম কেন্দ্রে এবার অসম চায়ের কেজি প্রতি দাম কম মিলেছে ১৩ টাকা ৫৪ পয়সা। গোটা দেশেই এবার সামগ্রিকভাবে কেজি প্রতি ১৬ টাকা ৮ পয়সা দাম কম পাওয়া গিয়েছে চায়ে। চা শিল্পের কর্তারা বলছেন, দেশের মধ্যে সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা দার্জিলিং চায়ের। একদিকে উৎপাদন ও দামে মার খাওয়ায় সঙ্কট বেড়েছে, তার উপর বাজার নষ্ট করছে নেপাল থেকে আসা চা। এই পরিস্থিতিতে সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির নিদান মেনে আর্থিক ত্রাণ না দিলে এই শিল্প বাঁচানো সম্ভব নয়। এমনটাই দাবি করেছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকার সেই আর্জি শুনবে বলেও আশা করে অ্যাসোসিয়েশন।