ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছে ফেডারেশন অব অ্যাসোসিয়েশনস ইন ইন্ডিয়ান ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি। কী কী দাবি করেছে তারা? সংগঠনের চেয়ারম্যান এবং আইটিসি’র এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর নকুল আনন্দ বলেন, পর্যটন শিল্প আজ ভয়ঙ্কর সমস্যায় রয়েছে। কর্মী সঙ্কোচনের ও আর্থিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার কিনারে দাঁড়িয়ে আছে। সরকার যদি এতে এখনই পদক্ষেপ না করে, তাহলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। সংগঠনের মূল দাবি, সরকার আর্থিকভাবে পর্যটন শিল্পের খানিকটা দায় নিক।
কীভাবে সরকার আর্থিকভাবে সাহায্য করতে পারে? নকুল আনন্দ সহ অন্য সংগঠকদের বক্তব্য, পর্যটন শিল্পের সর্বস্তরে এখন চলতি মূলধনের অভাব। কর্মীদের মাইনে ও মজুরি মেটানোর পাশাপাশি ইএমআই, অ্যাডভান্স ট্যাক্স, পিএফ, ইএসআই, জিএসটি, এক্সাইজ ও অন্যান্য কর, ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি, সিকিউরিটি ডিপোজিট প্রভৃতি ক্ষেত্রে সরকর যদি পাশে না দাঁড়ায়, তাহলে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হবে। সংগঠনের দাবি, সরকার এমন ব্যবস্থা করুক, যাতে অন্তত ১২ মাসের জন্য ঋণের ইএমআইয়ের টাকা দেওয়া স্থগিত রাখা যায়। ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুদ ও আসল— দুটি ক্ষেত্রেই মাসিক কিস্তি মেটানো মুলতুবির ব্যবস্থা করুক সরকার। পাশাপাশি সুদ ও কো-ল্যাটারাল মেটানোর শর্ত ছাড়াই কার্যকরী মূলধনের সীমা দ্বিগুণ করুক কেন্দ্র।
যেভাবে পর্যটন শিল্পগুলি আর্থিকভাবে পঙ্গুত্বের দিকে যাচ্ছে, তাতে জিএসটি, আয়কর, পিএফ, ইএসআইয়ের মতো বিধিবদ্ধক্ষেত্রগুলিতে টাকা মেটানোর দায় ১২ মাসের জন্য পিছিয়ে দিক সরকার, চিঠিতে দাবি করেছে সংগঠন। রাজ্য সরকারগুলিও তাদের কর সহ অন্য পাওনাগুলি ১২ মাসের জন্য পিছিয়ে দিক, এমনই আর্জি জানিয়েছে তারা। তাদের দাবি, সরকার একটি তহবিল গঠন করুক, যেখানে ১২ মাসের জন্য কর্মীদের মূল বেতন মেটানোর সুবিধা পাওয়া যায়। এবারের বাজেটে অর্থমন্ত্রক পর্যটনের উপর উৎসমূলে কর আদায় বা টিসিএসের প্রস্তাব দিয়েছে, যা এপ্রিল থেকে চালু হওয়ার কথা। সরকার ওই সিদ্ধান্ত থেকে এখন সরে আসুক, চায় তারা।
নকুল আনন্দ ও অন্যরা জানাচ্ছেন, পর্যটন শিল্পে বিদেশিদের থেকে ২ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলারের ব্যবসা এবং দেশীয় ক্ষেত্রে দু’লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা আজ অর্থনীতিতে বড় ঝুঁকির মুখে। সরকার যদি এতে পদক্ষেপ না করে, তাহলে সঙ্কট মারাত্মক আকার নেবে।