পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা ... বিশদ
কঠিন সময়ে দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ব্রুজোঁ। ডার্বির সকালে কলকাতায় পৌঁছে ডাগ-আউটে বসতে বুকের পাটা লাগে। গ্যালারিতে বসে দলকে পরখ করার নিরাপদ রাস্তায় না হেঁটে বেঞ্চে ছিলেন তিনি। ইস্ট বেঙ্গল হারলেও সেদিন মনে মনে স্প্যানিশ কোচকে বাহবা জানিয়েছিলাম। ভদ্রলোকের ‘দম’ আছে। কেউকেটা বা হাই-প্রোফাইল নন। বরং মাটি কামড়ে লড়তে জানেন। ভুটানে এএফসি কাপ চলাকালীন দলের পরিবর্তন বোঝা যাচ্ছিল। নাছোড় মানসিকতার সঙ্গে দুরন্ত ফিটনেস আমদানি করাই কোচের কৃতিত্ব। জলমুড়ির মতো মিইয়ে থাকা লালচুংনুঙ্গা, রাকিপরা ভাজা খইয়ের মতো ফুটছে। নেপথ্য কারিগর অস্কার ব্রুজোঁ। অর্থাৎ অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মতো দলের রোগ ধরতে পেরেছেন তিনি। কার্লেস কুয়াদ্রাতের কোচিংয়ে এই স্পিরিট একেবারেই দেখা যায়নি। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। পেড্রো বেনালির দলের বিরুদ্ধে হেডে জাল কাঁপায় দিয়ামানতাকোস। নিঃসন্দেহে সমর্থকদের জন্য সেরা উপহার। এর কিছুক্ষণ পরেই নিজেদের ডিফেন্সিভ থার্ডে নেমে বল ক্লিয়ার করতে দেখলাম ওকে। দলের সেরা স্ট্রাইকার প্রতিপক্ষকে তাড়া করছে— কোনও কোচের কাছে তা বিশাল প্রাপ্তি। এতেই প্রমাণিত, ফুটবলারদের এক সুতোয় গেঁথে মালা তৈরির চেষ্টা করছেন ব্রুজোঁ। কার্ড সমস্যায় নন্দকুমার আর মহেশ সিংকে পাননি লাল-হলুদের হেডস্যার। জিকসনকে অনভ্যস্ত রাইট উইং হাফে খেলানোর সিদ্ধান্তের প্রশংসা প্রাপ্য। নর্থইস্টের দুই উইং ব্যাক গতিতে ওভারল্যাপে আসে। জিকসন থাকায় সেই রাস্তা বন্ধ হয়। পাশাপাশি নেস্টরও ফ্রি হুইলিং ফুটবল খেলতে পারেনি। অযথা বায়নাক্কা আর অজুহাতের বদলে সাধ্য অনুযায়ী দল সাজিয়েছেন অভিজ্ঞ কোচ।
অনুমান করাই যায়, ইস্ট বেঙ্গল এখন সুখী পরিবার। দুরন্ত জয় তাদের টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। পরের ম্যাচে সাউলদের প্রতিপক্ষ চেন্নাইয়ান এফসি। অ্যাওয়ে যুদ্ধে আরও তিন পয়েন্টের স্বপ্ন দেখছেন সমর্থকরা। নর্থইস্ট বধের পর ফুটবলারদের মতো তাঁরাও অনেক উজ্জীবিত।