পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা ... বিশদ
পারথে অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে অভিযান শুরু করেছে ভারত। তবে ৬ ডিসেম্বর অ্যাডিলেডে শুরু হতে যাওয়া গোলাপি টেস্টে বিরাট কোহলিদের লড়াইটা সহজ হবে না। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশের মাটিতে দিন-রাতের টেস্টে অপরাজিত অজিরা। তাই অ্যাডিলেডে নামার আগে প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না ভারতীয় থিঙ্কট্যাঙ্ক। তাছাড়া প্রথম টেস্টে অনুপস্থিত ছিলেন রোহিত শর্মা। চোটের কারণে শুভমান গিলও খেলতে পারেননি। দ্বিতীয় টেস্টে দেবদূত পাদিক্কাল ও ধ্রুব জুরেলের পরিবর্তে ফিরতে চলেছেন এই দুই তারকা ব্যাটার। গোলাপি বল ও অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নেটে কসরত খামতি রাখছেন না রোহিত-গিল। তবে ম্যাচ সিচুয়েশনে প্র্যাকটিসের গুরুত্ব আলাদা। তাই প্রধানমন্ত্রী একাদশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি সেরে নেওয়াই লক্ষ্য ছিল তাঁদের। সেই পরিকল্পনায় ধাক্কা খেলেন দুই ব্যাটার। তাই রবিবার একদিনের ম্যাচে যতটা বেশি সম্ভব ব্যাট করতে চাইবেন তাঁরা। উল্লেখ্য, ভারত এখনও পর্যন্ত চারটি গোলাপি বলের টেস্ট খেলেছে। তার মধ্যে তিনটি জিতেছে ও একটি হেরেছে। ২০২০ সালে এই অ্যাডিলেডেই অস্ট্রেলিয়ার সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে টিম ইন্ডিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৩৬ রানে অল-আউট হয়েছিলেন বিরাট কোহলিরা। এবার তার বদলা নিতে চায় আত্মবিশ্বাসী ভারত।
এদিকে, প্রথম টেস্টে হারের পর অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন মার্নাস লাবুশানে। প্রথম ইনিংসে দুই রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ তিন। ফর্মে ফিরতে লাবুশানেকে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন রিকি পন্টিং। প্রাক্তন অজি অধিনায়কের মন্তব্য, ‘বিরাটকে দেখে শেখা উচিত মার্নাসের। এই সিরিজে আসার আগে ভারতীয় সুপারস্টারও ফর্ম খুঁজে বেড়িয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বিরাট নিজের গেমপ্ল্যানের উপর ভরসা রেখেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ওর অপরাজিত শতরান দেখে আমি মুগ্ধ।’ পন্টিং আরও বলেন, ‘প্রথম টেস্টে হারের পর অস্ট্রেলিয়া যেন আতঙ্কে না ভোগে। চোট-আঘাত ছাড়া অ্যাডিলেডে প্রথম একাদশে পরিবর্তন আনারও প্রয়োজন নেই। একটা ম্যাচ হারায় স্মিথ-লাবুশানেরা খারাপ ক্রিকেটার হয়ে যাবে না।’