পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা ... বিশদ
মোহন বাগান-১ : চেন্নাইয়ান এফসি-০
(কামিংস)
মাঠে নামলেন ৮৫ মিনিটে। তারপর? গ্রেগ স্টুয়ার্টের দশ মিনিটের স্পেলে ছারখার প্রতিপক্ষ। এলেন, দেখলেন, ম্যাচের সেরা ফুটবলারের পুরস্কারও ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন স্টুয়ার্ট। যোগ্য সঙ্গত জেসন কামিংসের। ঠিক যেন জুটিতে লুটি। বৃষ্টিভেজা যুবভারতীতে পালতোলা নৌকো তরতরিয়ে এগল। দুই সুপার-সাবের সৌজন্যে চেন্নাইয়ানকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফের লিগ শীর্ষে মোহন বাগান (৯ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট)। অন্যদিকে ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে চেন্নাইয়ান।
গত আইএসএলে ফিরতি পর্বে এই চেন্নাইয়ান হারায় মোহন বাগানকে। এদিনও মুখের গ্রাস প্রায় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন এলসিনহোরা। বুদ্ধি করে রক্ষণ আর মাঝমাঠে ক্লোজ মার্কিং করালেন আওয়েন কোয়েল। প্রথমার্ধে খেলা তৈরি করতে ব্যর্থ পেত্রাতোস। গত মরশুমের ফর্ম হাতড়ে বেড়াচ্ছেন। মেজাজ হারিয়ে কার্ডও দেখলেন। এমন চললে ফের বেঞ্চে ফিরতে হবে। আসলে এই পর্বে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে বল হোল্ড করে বাকিদের খেলানোর কোনও ফুটবলার ছিল না মোহন বাগানে। আপুইয়া এবং দীপক টাংরি, দু’জনেই ডিফেন্সিভ মিডিও। এরইমধ্যে একবার লিস্টনের দুরন্ত শট শরীর ছুড়ে বাঁচালেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক নওয়াজ। এমন ম্যাচে দ্রুত গোল না হলে মুশকিল। তার উপর ডানদিন থেকে কোনর শিল্ডস দৌড়তেই অস্বস্তিতে শুভাশিস। বিপদ বুঝে ৭৭ মিনিটে কামিংস ও পরে স্টুয়ার্টকে নামিয়ে দিলেন মোলিনা। ৮৬ মিনিটে এল মাহেন্দ্রক্ষণ। স্টুয়ার্টের শট পোস্টে প্রতিহত হয়। সেই বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ চেন্নাইয়ান। স্টুয়ার্টের বাঁ পায়ে শেফিল্ড ছুরির ধার। তিনি বল বাড়ান কামিংসকে। ছোট্ট জায়গায় বাঁ পায়ের ইনসুইং সোয়ার্ভে জাল কাঁপালেন অজি স্ট্রাইকার (১-০)। গোলের পর কামিংসের চোখমুখের ভাষাই অনেককিছু বলে দিচ্ছিল। গ্যালারির দিকে ছুটে গিয়ে সেলিব্রেশনের সময় আবেগপ্রবণ দেখাল অজি স্ট্রাইকারকে। ভাগ্য সহায় থাকলে স্টুয়ার্টও গোল পেতেন। দু’বার তাঁর শট ক্রসপিসে আছড়ে পড়ে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট আগে মনবীরের হেডও বারে প্রতিহত হয়।
প্রথমার্ধে অবশ্য মোহন বাগানকে দাঁত ফোটাতে দেয়নি চেন্নাইয়ান। পেত্রাতোসকে কড়া মার্কিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন এলসিনহো। দীর্ঘদেহী এই ব্রাজিলিয়ান সাধারণত ডিফেন্ডার। তবে মোহন বাগানকে নিষ্প্রভ করতে এলসিনহোকে ব্লকার হিসেবে ব্যবহার করলেন চেন্নাইয়ান কোচ আওয়েন কোয়েল। এছাড়া বাগানের দুই উইঙ্গার লিস্টন ও মনবীরকে আটকাতে প্রতিপক্ষের দুই উইং ব্যাক ওভারল্যাপেই উঠল না। চেন্নাইয়ানের কোচ হোমওয়ার্ক করেই কলকাতায় পা রাখেন। পাশাপাশি তরুণ রাইট-ব্যাক দীপ্যেন্দুকেও প্রথমার্ধে বেশ নড়বড়ে দেখাল। হলুদ কার্ডও দেখেন তিনি। তাই বিরতিতে তাঁকে তুলে আশিস রাইকে মাঠে নামান বাগান কোচ। ৫৫ মিনিটে লিড নেওয়ার সুযোগ আসে হোম টিমের কাছে। কিন্তু মনবীরের ডিফেন্স চেরা থ্রু’তে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ ম্যাকলারেন। কিছুতেই কাজ হচ্ছে না দেখে একে একে সাহাল, আশিকদের নামালেন মোলিনা। শেষ পর্যন্ত কামিংস ও স্টুয়ার্টকে মাঠে নামানোটাই মাস্টারস্ট্রোক হয়ে দাঁড়াল। এদিন কার্ড দেখায় পরের ম্যাচে শুভাশিস এবং আলবার্তোকে পাচ্ছে না মোহন বাগান।
মোহন বাগান: কাইথ, দীপ্যেন্দু (আশিস), আলড্রেড, আলবার্তো, শুভাশিস, টাংরি (সাহাল), আপুইয়া, লিস্টন (আশিক), মনবীর, দিমিত্রি (স্টুয়ার্ট) ও ম্যাকলারেন (কামিংস)।