বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
রবিবারের ডার্বির আগে তেতে আছে মোহন বাগান শিবির। হোম ম্যাচ বলে ফেডারেশনের নিয়মে শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন ছিল সবুজ-মেরুন তাঁবুতে। সেখানে দেখা গেল প্রচুর সমর্থক। টিকিট কাটার পাশাপাশি সাংবাদিক সম্মেলনে আসা কোচ কিবু ভিকুনা ও মুনোজকে নিয়ে দেখা গেল হুড়োহুড়ি। কোচের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হল প্লাস্টিকের চিংড়ি। যা দেখে তাঁর স্ত্রী প্রচণ্ড খুশি। গোকুলাম ম্যাচের আগের দিন প্র্যাকটিসে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। আই লিগে মোহন বাগানের ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে ওই ম্যাচেই। তারপর থেকে কোচের বেটার হাফ যেন মোহন বাগান দলের ‘বাড়তি’ সদস্য। কাশ্মীরেও গিয়েছিলেন দলের সঙ্গে। ‘লেডি লাক’ ডার্বিতেও ক্লিক করবে বলে মনে করছেন কিবু।
গত তিন দশক ডার্বির আগে এতটা ঘেঁটে থাকতে দেখা যায়নি ইস্ট বেঙ্গলকে। সেই সুযোগ নিতে তৈরি মোহন বাগান। টানা পাঁচটি ম্যাচ অপরাজিত থাকায় ভিকুনা-ব্রিগেডের আত্মবিশ্বাসও উঁচু তারে বাধা। অনুশীলনেও নেই তাই কোনও বিধিনিষেধ। গা ঘামানোর শেষ পর্বে দেখা গেল সাহিল-শঙ্কর রায়ের খুনসুটিও। মোহন বাগানের গোলরক্ষক বড় ম্যাচের আগে টেনিস বলে অনুশীলন সারলেন প্রতিবর্ত ক্রিয়া বাড়াতে।
সবদিক থেকে এগিয়ে থাকলেও রবি সন্ধ্যায় মোহন বাগানীদের সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে লালরিনডিকা রালতের বিষাক্ত কর্নার কিংবা দুরন্ত ফ্রি-কিক। সেটপিস থেকে গোল খাওয়াটা বাগানের বদভ্যাস। দলের এই রোগ মেনে নিলেন ড্যানিয়েল সাইরাসও। ত্রিনিদাস-টোবাগোর ফুটবলারটি বললেন,‘আমরা এটা নিয়ে হোম ওয়ার্ক করেছি। রবিবার দর্শক ভর্তি গ্যালারির সামনে যাবতীয় ভুলত্রুটি শুধরে নিয়ে জিততে চাই। রক্ষণ নিয়ে কোচও বেশ কিছু মূ্ল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন।’
মোহন বাগানের স্প্যানিশ সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার ফ্রান মোরান্তে মনে করছেন, আই লিগে ইস্ট বেঙ্গল স্ট্রাইকার সমস্যা নিয়ে ভুগছে বলে আমরা ওদের হাল্কাভাবে নিচ্ছি না। ফুটবলে অনেক সময়েই দেখা যায়, চূড়ান্ত ব্যর্থ হওয়ার ফুটবলার হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হিরো হয়ে গেল। তাই মার্কোস যাতে সেই ভূমিকা পালন করতে না পারে তারজন্য আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। ড্যানিয়েলের সঙ্গে আমার বোঝাপড়া ক্রমশ বাড়ছে। ফ্রান গঞ্জালেজ মুনোজ সামনে থাকায় আমাদের বাড়তি সুবিধা হয়েছে। ওই দলের নেতা।’ আই লিগে খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করতে একটি চার্ট তৈরি করে ড্রেসিং-রুমে ঝুলিয়ে দিয়েছেন কোচ কিবু ভিকুনা। সেখানে আছে দলের মূল্যবোধ বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু স্লোগান। সব মিলিয়ে প্রথম একাদশ অপরিবর্তিত রেখে ২৪ মাস পর ডার্বি জিততে মুখিয়ে মোহন বাগান।