পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা ... বিশদ
পঞ্চায়েত প্রধান রূপচাঁদ শেখ বলেন, আমি নাম বাদ দেওয়ার আবেদন করেছি। আসলে বহু বছর আগে ঘরের আবেদন করেছিলাম। তখন কাঁচা বাড়ি ছিল। কয়েকবছর আগে পাকা বাড়ি করি। সমীক্ষার কাজে জনপ্রতিনিধিরা যুক্ত ছিলেন না। ফলে জানতে পারিনি, কার নাম তালিকায় রয়েছে। সম্প্রতি আবাসের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ হয়। সেখানে দেখি, যোগ্য উপভোক্তার তালিকায় আমার স্ত্রীর নাম রয়েছে। তৎক্ষণাৎ আমি ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি, এই ঘর আমার লাগবে না। চাপড়ার বিডিও সমীররঞ্জন মান্না বলেন, অনেকেই বাড়ি না নেওয়ার আবেদন করছেন। বিভিন্ন অভিযোগও জমা পড়ছে। আমরা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখছি। এটা চূড়ান্ত তালিকা নয়। গাইডলাইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুপার চেকিং করার জন্য ফিল্ডে যাওয়া হবে।
চাপড়ার বিধায়ক রুকবানুর রহমান বলেন, রূপচাঁদ আমাদের দলের খুব ভালো ছেলে। দলের সক্রিয় কর্মী। আগে ওর আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। অন্য রাজ্যে কাজ করতে যেত। তখন ওর ঘরের প্রয়োজন ছিল বলেই আবেদন করেছিল। কিন্তু এখন ও পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছে। তাই নিজেই ঘর নেবে না বলে জানিয়েছে।
কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়ক থেকে কিছুটা গলির ভিতরেই রূপচাঁদ শেখের পুরনো বাড়ি। এর আগে তাঁর স্ত্রী কাকলি শেখ হাতিশালা-১ পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রূপচাঁদ শেখ ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন। চাপড়ার বিধায়ক গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবেই সবাই তাঁকে চেনে। রাস্তার ধারেই সরু গলির ভিতরে তাঁর একতলা পাকা বাড়ি রয়েছে।
পঞ্চায়েত প্রধান জানান, কয়েকবছর আগে পর্যন্ত সেই বাড়ি কাঁচা ছিল। তখন তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্যা ছিলেন। তবে কাঁচা বাড়ি থাকায় আবাসের ঘরের জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। ঘর না মেলায় তাঁরা বাড়ি পাকা করেন। তিনি প্রধান হওয়ার পর পুরনো বাড়ি থেকে কিছু দূরে নতুন বাড়ি তৈরি শুরু করেছেন। কিন্তু আবাসের তালিকা থেকে নাম বাদ পড়েনি।
নবান্নের নির্দেশমতো জনপ্রতিনিধিদের দূরে রেখেই ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের আধিকারিকরা আবাসের সমীক্ষা করেছেন। যার ভিত্তিতে প্রাথমিক তালিকা তৈরি করা হয়। সেই তালিকাতেও কীভাবে পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্ত্রী নাম থাকল-তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।