পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা ... বিশদ
এর আগে বগুড়ানজালপাই ২নম্বর মৎস্যখটি এলাকাতেই তাদের জায়গায় শৌচালয় নির্মাণ হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে বাধা দিয়েছিল বনদপ্তর। সেই সময় মৎস্যজীবীদের বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। শৌচালয় তৈরির কাজও বন্ধ করে দেয় বনদপ্তর। সম্প্রতি সেই শৌচালয় ভাঙার জন্য মৎস্যখটি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে বনদপ্তর। এই পরিস্থিতির মধ্যেই এদিনের ঘটনা।
উল্লেখ্য, এদিন শৌচালয় সংক্রান্ত ইস্যু, লাল কাঁকড়ার নিধনের অভিযোগ প্রভৃতি নানা বিষয় নিয়ে বগুড়ানজালপাই এলাকা পরিদর্শন গিয়েছিলেন বিভাগীয় বনাধিকারিক সত্যজিৎ রায়। সঙ্গে ছিলেন বনদপ্তরের কাঁথি রেঞ্জের অফিসার মনীষা শ, স্থানীয় বিট অফিসার অর্পিতা কুণ্ডু সহ অন্যান্য বনকর্মীরা। তাঁদের দাবি, তাঁরা সেখানে গিয়ে দেখেন, সৈকতের মাছ শুকনো করে তার উপর জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। আশপাশে কয়েকশো লাল কাঁকড়া মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তখন তাঁরা স্থানীয় মৎস্যজীবীদের বলেন, মাছ শুকনো করা হোক। কিন্তু উপরে জাল দিয়ে ঘিরে দিলে তার নীচে চাপা পড়ে লাল কাঁকড়া মারা পড়বে। তাঁরা মৎস্যজীবীদের এসব বলে স্থানীয় বিট অফিসে চলে যান। বনদপ্তরের কর্মী-আধিকারিকরা মাছ শুকনো করতে বাধা দিয়েছেন, এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার শতাধিক মৎস্যজীবী সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরপর তাঁরা সৈকতে চারচাকা গাড়ি ঢোকা বন্ধ করতে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে যে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া ছিল, তা ভেঙে দেন। এমনকী বনদপ্তরের কর্মী-আধিকারিকরা যাতে সৈকতে নামতে না পারেন সেজন্য আরও একটি বেড়া দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
মৎস্যখটির সম্পাদক দেবব্রত খুঁটিয়া বলেন, এদিন দপ্তরের আধিকারিক-কর্মীরা শুকনো মাছ নষ্ট করে দিয়েছেন, এই খবর পেয়ে আমরা সৈকতে আসি। আমরা দরিদ্র মৎস্যজীবী। দশকের পর দশক ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। বনদপ্তরের আধিকারিক-কর্মীরা মাছ শুকনো করার ক্ষেত্রে বাধা দেন। জোর করে তা তুলে দেওয়া হয়। গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এরপর থেকে সমুদ্রেসৈকতে মাছ শুকনো করলে মৎস্যজীবীদের দেখে নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। আমরা পুলিসকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছি। বিষয়টি মৎস্যদপ্তরকেও জানানো হয়েছে।
রেঞ্জ অফিসার মনীষাদেবী বলেন, মাছ শুকনো করতে গিয়ে বহু লাল কাঁকড়া মারা পড়ছে। আমরা এদিন মৎস্যজীবীদের সচেতন করি। লাল কাঁকড়া বাঁচাতে যেখানে নিয়মিত প্রচার চলছে, সেখানে এসব মানা যায় না। তবে শুকনো মাছ ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়নি। মিথ্যা অভিযোগ। আসলে শৌচালয়টি ভেঙে নেওয়ার নোটিস দেওয়ার পর সেই আক্রোশ থেকেই মৎস্যজীবীরা এসব করেছেন।