পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা ... বিশদ
কান্দি সালার রাজ্য সড়কের পাশেই রয়েছে নবপল্লি গ্রাম। ওই গ্রামের উত্তর দিকের রাস্তায় শেষ বাড়িটি হল বৃদ্ধার। বাড়ি বলতে কয়েক কাঠা জমির উপর পরপর কয়েকটি টিনের ছাউনি দেওয়া ঘর ও পাশেই কংক্রিটের দু’টি দোকানঘর।
এদিন দুপুরে বৃদ্ধা একটি ঝাঁটা হাতে অসুস্থ হয়ে রাস্তার মধ্যেই পড়েছিলেন। সেইসময় পথচলতি দু’জন তাঁকে উদ্ধার করে পাশে বসিয়ে চোখেমুখে জল দিতেই তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। জিজ্ঞাসা করলে জানা যায়, সকাল থেকে তাঁর পেটে কিছুই পড়েনি। এরপর তাঁর খাবারের ব্যবস্থা করার পর খবর পৌঁছায় স্থানীয় মালিহাটি পঞ্চায়েতে। খবর পেয়ে চলে আসেন পঞ্চায়েতের উপ প্রধান মহম্মদ ইসমাইল হোসেন, মালিহাটি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি রেজাউল হোসেন প্রমুখ।
তড়িঘড়ি ওই বৃদ্ধার চিকিৎসা করা হয়। পরে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে তাঁর আশ্রয়ের ব্যবস্থাও করা হয়। একমাসের খাবার সহ কিছু নগদ টাকা ও শীতের পোশাকেরও ব্যবস্থাও করা হয় পঞ্চায়েত থেকে। বৃদ্ধার প্রতিবেশী রিপন মজুমদার, অরুণ দাস বলেন, বৃদ্ধার পরিবারের সকলে আটদিন ধরে নৈহাটিতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছে। তাই তাঁরা যতটা পারেন বৃদ্ধার দেখাশুনা করেন।
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বলেন, সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই খবর না জানতে পারলে বড় অঘটন ঘটে যেতে পারত। দলের কর্মীরা প্রতিদিন দুইবেলা বৃদ্ধার খোঁজখবর নেবেন। বৃদ্ধার যাবতীয় প্রয়োজন দলের পক্ষ থেকে মেটানো হবে।
পঞ্চায়েতের উপ প্রধান বলেন, এই অমানবিক কাজের জন্য পরিবারের কাছে জবাবদিহি করা হবে। নিরাপত্তার কারণে আপাতত বৃদ্ধার বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃদ্ধার প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবারের লোকজনদের বিয়ে বাড়ি থেকে দ্রুত ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ততদিন বৃদ্ধার দায়দায়িত্ব পঞ্চায়েতের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বৃদ্ধার বয়স প্রায় ১০৮ বছর। প্রায় একবছর আগে বাড়ির সামনেই পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর ছেলের। এরপর বাড়িতে নাতি ও বউমার সঙ্গে থাকতেন তিনি। বয়সের ভারে তিনি হাঁটাচলাও করতে পারেন না। কানেও শুনতে পান না। বৃদ্ধা বলেন, অনেক দিন বাড়িতে কেউ নেই। খেতেও পাচ্ছি না। খুব কষ্ট। -নিজস্ব চিত্র