পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা ... বিশদ
বাঁকুড়া উত্তরের ডিএফও দেবাশিস মহিমাপ্রসাদ প্রধান বলেন, সংবাদমাধ্যমে বনদপ্তরের জায়গায় চোলাই তৈরির বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় রেঞ্জারকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিন সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রচুর চোলাই তৈরির কাঁচামাল নষ্ট করা হয়। বনদপ্তরের জায়গায় কোনও ধরনের বেআইনি কাজ বরদাস্ত করা হবে না। আগামী দিনেও চোলাই ঠেক প্রবণ এলাকাগুলির উপর নজরদারি চালানো হবে।
সোনামুখী আবগারি দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক নরেন্দ্রনাথ রাজোয়ার বলেন, বনদপ্তরের জায়গায় বেআইনি চোলাই তৈরি হচ্ছিল। ফলে ওই দপ্তরকে নিয়ে আমরা এদিন অভিযান চালাই। তাতে ৮৫৫ লিটার চোলাই ও মদ তৈরির কাঁচামাল বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরে তা নষ্ট করে দেওয়া হয়। এদিন রামপুর ফরেস্টের দু’টি জায়গায় অভিযান চলে। তারমধ্যে বাউরি বাঁধ এলাকায় সবচেয়ে বেশি ৬০০ লিটার চোলাই পাওয়া গিয়েছে।
উল্লেখ্য, সোনামুখী থানা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই চোলাই কারবারিদের দৌরাত্ম্য লক্ষ্য করা গিয়েছে। সোনামুখীতে তৈরি মদ দামোদর নদ পার হয়ে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে পাচার করা হচ্ছে। ওই থানার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বেআইনি চোলাইয়ের ভাটি গজিয়ে উঠেছে। রাধামোহনপুর, হামিরহাটি ও মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সবচেয়ে বেশি চোলাই তৈরি হয়। এলাকার প্রভাবশালীদের হাত চোলাই কারবারিদের মাথায় রয়েছে। সেই কারণে অনেক সময় তাদের বিরুদ্ধে কোনও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। পুরো বিষয়টি সম্প্রতি ‘বর্তমান’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকার নাম ধরে খবর প্রকাশ পেতেই পুলিস, প্রশাসন, আবাগরি ও বনদপ্তরের কর্তারা নড়েচড়ে বসেন। জেলা প্রশাসনের তরফে রিপোর্ট তলব করা হয়। পুলিস, আবগারি ও বনদপ্তরের শীর্ষ কর্তারা অবিলম্বে অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন। কোনওভাবেই চোলাই কারবারিদের রেয়াত করা হবে না বলে আধিকারিকরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, কম দামে পাওয়ার কারণে অনেকেই চোলাই মদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। অনেক সময় চোলাই বিষ মদে পরিণত হয়। তা খেয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া চোলাই বেশি বিক্রি হলে বৈধ মদ বিক্রিতে সরকারি রাজস্বে ঘাটতি পড়ে। এসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলাজনিত পরিস্থিতিরও অবনতি হয়। ফলে সব দিক থেকেই চোলাই মদ বিক্রি ক্ষতিকর। বিষয়টি দেখার জন্য ব্লক প্রশাসনকেও বলা হয়েছে।