পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা ... বিশদ
পুজো কমিটির সম্পাদক সোমনাথ সাহা বলেন, প্রতিবছরই নিয়ম মেনেই পাগলি মা কালীর পুজো হচ্ছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে পাগলি মা কালীর পুজো হয়ে আসছে কাটোয়া শহরে। শোনা যায়, ১৩৭৪ বঙ্গাব্দে অনিল দাস, বৈদ্যনাথ সাহা ও তারা দাস নামে তিন বন্ধু একদিন কাটোয়ায় ভাগীরথীতে স্নান করছিলেন। স্নান করার সময় জলের স্রোতে ভেসে আসে একটি কালীমূর্তির কাঠামো। গঙ্গার স্রোতে তিনজনের কাছে ওই পাটাতন চলে আসে। তাঁরা কাঠামো ঠেলে দেন যাতে স্রোতে ভেসে চলে যায়। কিন্তু যতবার তাঁরা সরানোর চেষ্টা করেন ততবারই তাঁদের কাছে চলে আসে ওই কাঠামো। সেদিন অনিলবাবু ওই পাটাতনটি তুলে নদীর পাড়ে রেখে দেন। তারপর তিন বন্ধু বাড়ি চলে যান। ওই রাতেই অনিল দাস মাকে পুজো করার স্বপ্নাদেশ পান। তারপর তিন বন্ধু পরের দিন সকালে চলে যান তারাপীঠ। সেখানে গিয়ে তাঁরা সাধক বামাখ্যাপার আত্মীয় উমাপদ রায়ের সঙ্গে দেখা করে সব ঘটনার কথা খুলে বলেন। তাঁদের মুখ থেকে শুনে উমাপদবাবু তাঁদের নির্দেশ দেন ওই কাঠামোতেই কালীপুজো করতে। উমাপদবাবু নিজেই পুজো করার সিদ্ধান্ত নেন। এখন সুখেন্দু বিকাশ রায় এই পুজোর পুরোহিত। পাগলি মা কালীপুজোয় নিয়ম রয়েছে শ্মশানঘাটের আধপোড়া কাঠ ও শ্মশানঘাটে ফেলে যাওয়া দড়ি দিয়ে পাগলি মা কালীর মণ্ডপ বাঁধতে হয়। তন্ত্রমতে পুজো হয় পাগলি মা কালীর।