সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকেই প্রশাসনিকস্তরে প্রস্তুতি ছিল চূড়ান্ত পর্যায়ে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে মেদিনীপুর কলেজে হবে ভোট গণনা। শহরে ঢেলে সাজা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি হলে ১৮টি টেবিলে ৩০৪টি বুথের গণনা হবে। গণনা কর্মী থাকবেন ৯১জন। উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার তথা মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া হয়েছে। গণনাও সুষ্ঠুভাবে হবে। সবদিক থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৩ নভেম্বর এই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ হয়। ভোট পড়েছে ৭৩.৭৩ শতাংশ। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় খুশি শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষ। উপ নির্বাচনে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পকে সামনে রেখে ভোটের ময়দানে ঝাঁপিয়েছিল তৃণমূল। অন্যদিকে, বারংবার নারী নির্যাতন সহ একাধিক ঘটনাকে ভোটের প্রচারে তুলে ধরে বিরোধীরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, গ্রামীণ এলাকায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। তবে শহরের ভোট নিয়ে বেশ অস্বস্তি রয়েছে। এদিন আড্ডার ঠেকে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা প্রভাত মুখোপাধ্যায় বলছিলেন, খেলা কোন দিকে ঘুরবে কেউ বুঝতে পারছে না। তবে তৃণমূলের পাল্লা ভারী। ধর্মা এলাকায় চায়ের দোকানে বসেছিলেন পেশায় শিক্ষক দেবাশিস মণ্ডল। তিনি বলেন, গত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের জুন মালিয়া জয়লাভ করেছিলেন। আর উপনির্বাচনে ভোট শাসকের পক্ষেই হয়। তাই এই কেন্দ্রে বিজেপি কোনও ফ্যাক্টর নয়, তৃণমূলে ভূমিপুত্র প্রার্থী এবার বাজিমাত করবে। কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ হাজার জয়ের মার্জিন হবে। তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা বলেন, এদিন সকাল থেকে কাউন্টিং এজেন্টদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, মানুষ উন্নয়নের সঙ্গেই থাকবে। বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায় বলেন, মানুষের রায় জানতে আমরা প্রস্তুত। সকাল থেকেই কাউন্টিং এজেন্টদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। হাজার পাঁচেক ভোটের ব্যবধানে জয় আসবে বলেই আশাবাদী। কংগ্রেস প্রার্থী শ্যামলকুমার ঘোষও জয় নিয়ে আশাবাদী। সিপিআই প্রার্থী মণিকুন্তল খামরুই বলেন, হার জিত আমাদের হাতে নেই। - নিজস্ব চিত্র