সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
গত ৩ অক্টোবর কেন্দ্র সরকার বাংলা, মারাঠি, অসমীয়া, পালি ও প্রাকৃত ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেয়। এই স্বীকৃতির ফলে ভাষাগুলি কীভাবে আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে, এ বিষয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ভবন। অপর উদ্যোক্তা ছিল দিল্লির ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশন। এ বিষয়ে আমন্ত্রণপত্র ছাপানোর পর গত ১৪ নভেম্বর কর্তৃপক্ষ নোটিস জারি করে। অথচ অনুষ্ঠানের ঠিক আগের দিন বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বিষয়টি জানানো হয়। শেষ মুহূর্তে, ছাত্রছাত্রীরা তা জানতে পেরে এর বিরোধিতা শুরু করেন। এমনকী, প্রধান অতিথির নামও আমন্ত্রণপত্রে ছিল না। এদিন মঞ্চে উপস্থিত হন বোলপুরের গত বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। এর তীব্র বিরোধিতা করে আলোচনা সভা চলাকালীন বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই। প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বারবার বিজেপি কর্মকর্তা ও আরএসএসের নেতাদের এনে কর্মশালা ও আলোচনা সভা করায় অতীতেও কর্তৃপক্ষকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। বর্তমানে শান্তিপূর্ণভাবেই পঠন-পাঠন চলছে ক্যাম্পাসে। এমতাবস্থায় ধ্রুপদী ভাষা নিয়ে আলোচনা সভায় রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতি পড়ুয়ারা মোটেই ভালোভাবে নেননি। এসএফআইয়ের নেতা প্রত্যুষ মুখোপাধ্যায়, দেবজিৎ বুট বলেন, ভাষা নিয়ে আলোচনা সভাকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে তা কেন করা হবে? সেই মঞ্চে বিজেপি নেতাই বা কেন উপস্থিত হবেন? এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের অনির্বাণবাবু বলেন, ছাত্ররা তো আন্দোলন করবেই, ওদের প্রতি আমার কোনও অভিযোগ নেই। তবে বিশ্বভারতীর মঞ্চে বক্তব্য রাখতে পেরে আমি আনন্দিত। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। - নিজস্ব চিত্র