সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
২০০৩ সাল থেকে এই কলেজে কোনও স্থায়ী অধ্যক্ষ ছিল না। একবছর আগে স্থায়ী অধ্যক্ষ হয়ে আসেন এই কলেজেরই অধ্যাপক পীযূষকান্তি দেব। ১৩ নভেম্বর তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাঁকে পুনর্বহাল করা হবে কি না, সেনিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
কিন্তু এরই মধ্যে অধ্যক্ষকে সরানোর দাবিতে কলেজের ভিতরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। টিএমসিপির তেহট্ট-১ ব্লক সভাপতি অচিন্ত্য মণ্ডল বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। পঠনপাঠন সম্পূর্ণ বন্ধ। কলেজের কিছু অধ্যাপক ও অশিক্ষক কর্মীর উপস্থিতি অনিয়মিত। কলেজ সুষ্ঠুভাবে চালাতে তাঁকে সরিয়ে নতুন অধ্যক্ষ আনা হোক।
অন্যদিকে, পীযূষকান্তিবাবুকে পদে বহাল রাখার দাবিতে বিজেপি, সিপিএম ও তৃণমূলের একাংশ নিয়ে ‘বেতাই নাগরিক সমাজ’ গঠিত হয়েছে। সংগঠনের দাবি, কলেজকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পীযূষকান্তিবাবুকে পদে বহাল রাখতে হবে। তাঁদের দাবি না মেনে অধ্যক্ষকে সরানো হলে বড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক সমাজের তরফে সুলগ্ন ভট্টাচার্য, শক্তিসাধন বিশ্বাস, দেবাশিস বিশ্বাসদের অভিযোগ, দুর্নীতি এবং অবৈধ কাজকর্মে বাধা দেওয়ার কারণেই অধ্যক্ষকে সরানোর চক্রান্ত করছেন গভর্নিং কমিটির সভাপতি সহ কলেজের কিছু কর্মী। স্থায়ী অধ্যক্ষ থাকায় কলেজের একাংশ দুর্নীতি করতে পারছে না।
গভর্নিং বডির সভাপতি তথা বিধায়ক তাপসকুমার সাহা চক্রান্তের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, অধ্যক্ষ এখনও পর্যন্ত এই কলেজে থাকার জন্য কোনও আবেদন করেননি। তিনি এখন ছুটিতে থাকবেন। সেই সময়কালে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তিনি যদি অন্য কোনও কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যেতে চান, তাহলে যেতে পারেন। অন্যথায় এই কলেজেরই অধ্যাপক হিসেবে থাকবেন। আমরা নতুন অধ্যক্ষের জন্য আবেদন জানাব।