সংবাদদাতা, সিউড়ি: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার থেকে বেশি রাজনীতি ঢুকে গিয়েছে। ওটা একটা গণ্ডগোলের জায়গা হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার সিউড়িতে একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে এসে বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। এদিন সিউড়ি-১ব্লকের আলুন্দা পঞ্চায়েতের শক্তিপুর গ্রামে একটি মুক্ত মঞ্চের উদ্বোধনে অংশ গ্রহণ করেন শতাব্দী। সেখানে অভিনেত্রী সাংসদকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষ। এদিন আলুন্দা ছাড়াও সাংসদ আদমপুর গ্রামে একটি ফুটবল খেলার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সাংসদ তহবিলের বরাদ্দ অর্থে ওই গ্রামে একটি সাংস্কৃতিক মুক্তমঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ওই মঞ্চ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর এদিন সেটি উদ্বোধন করেন সাংসদ। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এবং পঞ্চায়েতস্তরের জনপ্রতিনিধিরা। এদিন অনুষ্ঠানে সাংসদ বলেন, আপনাদের জন্য আমি সব কাজই করতে চাই। কিন্তু, সাংসদ তহবিলের বরাদ্দ সীমিত অর্থে সব কিছু হয়ে ওঠে না। তাই বড় কাজের ব্যাপার হলে আমি জেলা অথবা রাজ্য প্রশাসনকে সেটি জানাই। গত ১৫বছর ধরে আপনাদের সঙ্গে রয়েছি। আমি ভোটে জিতে পালিয়ে যাইনি। তাই আগামী দিনেও আপনাদের জন্য কাজ করব।
এদিনের অনুষ্ঠান শেষে বিশ্বভারতীতে এসএফআইয়ের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শতাব্দী বলেন, বিশ্বভারতী একটি গণ্ডগোলের জায়গা তৈরি হয়েছে। ওখানে পড়াশোনার থেকে রাজনীতিটাই বেশি ঢুকে গিয়েছে। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, চন্দ্রনাথদার সঙ্গে কেষ্টদার কোনও বিবাদ রয়েছে বলে আমার মনে হয় না। কেষ্টদা অনেক দিন পর এসেছেন। কর্মীরা হয়তো অনেকে অনেক কিছু মনে করছেন। তাই আগামী দিনে ধীরে ধীরে কর্মীদের সব বিবাদ মিটে যাবে।