সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় ৫ দশকের বেশি সময় ধরে দাঁতনের নতুন বাজার এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলছিল অন্যতম প্রাচীন এই টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি। গত ২০২২ সালের ৫ আগস্ট সেই টেলিফোন এক্সচেঞ্জের অফিস ঘরে তালা লাগিয়ে দেন বাড়ির মালিক। মালিকদের মধ্যে অন্যতম অম্লান মাইতি বলেন, ২০০৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে ভাড়া বকেয়া রেখেছে বিএসএনএল দপ্তর। বারবার অনুরোধ জানিয়েও সুফল মেলেনি। শেষমেশ ২০১৪ সালে মেদিনীপুর আদালতে মামলা দায়ের করি। ২০১৯ সালে সম্পূর্ণ ভাড়া মিটিয়ে দেওয়ার রায় হয়। কিন্তু তারপরেও ভাড়া না পাওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করি। অবশেষে আদালতের রায়ে ২০২২ সালের ৫ আগস্ট গেটে তালা লাগিয়ে দিই। আমার সঙ্গে বিএসএনএল দপ্তর যোগাযোগ করলেও বিষয়টি নিয়ে এখনও সমাধান সূত্র বেরয়নি। দাঁতন ১ ব্লকের বিডিওর মোবাইল নম্বর বিএসএনএলের। দীর্ঘ দু’বছর ধরে সেই মোবাইল নম্বরটি অকেজো হয়ে গিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হচ্ছে। বিডিও বলেন, অফিশিয়াল মোবাইল নম্বরটি বিএসএনএলের।দাঁতন এলাকায় থাকলে নেটওয়ার্ক থাকে না হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে হয়। ল্যান্ডলাইন ও ইন্টারনেট কানেকশন প্রাইভেট প্রোভাইডার থেকে নিতে হয়েছে। এক গ্রাহক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিএসএনএল ব্যবহার করে আসছি। ট্যারিফ ভীষণ কম। কিন্তু যেভাবে দপ্তরের পক্ষ থেকে এক্সচেঞ্জ চালু করার বিষয়ে গাফিলতি করা হচ্ছে, তাতে আগামী দিনে প্রোভাইডার পাল্টাতে বাধ্য হব।
বিএসএনএলের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে সমাধান সূত্র বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। খড়্গপুরের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। যাতে দ্রুত ওই এক্সচেঞ্জটি খোলা যায়, তার জন্য সমস্ত রকম প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। বিকল্প জায়গার খোঁজ চলছে। বিকল্প ব্যবস্থার কথাও ভেবে রাখা হয়েছে। আশা রাখছি, আদালত থেকে দ্রুত সমাধান সূত্র পাব।
(দাঁতনে বন্ধ রয়েছে বিএসএনএল অফিস।-নিজস্ব চিত্র)