সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রই এই সাইবার গ্যাংটি তৈরি করে। তার অধীনে আরও কয়েকজন কাজ করত। তাদের খোঁজে পুলিস তল্লাশি শুরু করেছে। প্রতারকরা নিজেদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি গ্রুপ তৈরি করেছিল। সেই গ্রুপের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করত। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, রবীন্দ্র প্রসাদের গ্যাংয়ের হাতে বহু শ্রমিকের নথি জমা রয়েছে। সেগুলি তারা কীভাবে ব্যবহার করেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শ্রমিকদের নথি নিয়ে তারা ভুয়ো সিমকার্ডও তুলেছে। তারা যেসব অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছিল সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। টাকা জমা পড়ার পরও শ্রমিকরা কিছুই জানতে পারেনি। প্রতারকরা টাকা তোলার আগেই অনেক অ্যাকাউন্টের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রর গ্যাং শুধু পূর্ব বর্ধমান নয়, অন্যান্য জেলার পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট থেকেও তারা টাকা হাতিয়েছে। তাকে অন্যান্য জেলার পুলিসও জেরা করবে। ধৃত জেরায় জানিয়েছে, পরিচিত একজন বাংলার শিক্ষা পোর্টালের পাসওয়ার্ড তাকে দিয়েছিল। তা দেওয়ার জন্য সে প্রতরণার মোটা অঙ্কের টাকা ভাগ পেত। পুলিস তাকেও গ্রেপ্তারের জন্য জাল বিছিয়েছে।
এই গ্যাংটি আরও কয়েকটি সরকারি পোর্টাল টার্গেট করেছিল। তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা হাতানোর পরই তারা অন্য অপারেশনে নামত। তার আগেই পুলিস গ্যাংয়ের অন্যতম মাথাকে গ্রেপ্তার করেছে।
যাঁদের অ্যাকাউন্টে প্রতারকরা টাকা পাঠিয়েছিল তাঁদের সঙ্গেও তদন্তকারী অফিসাররা কথা বলেছেন। অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেছেন। তবে, শ্রমিকরা পুলিসকে জানিয়েছেন, সরকারি প্রকল্পে টাকা দেওয়া হবে এই অশ্বাসে পুজোর আগে তাঁদের কাছ থেকে নথি নেওয়া হয়েছিল। সরকারি প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার আশায় তাঁরা নথি দিয়েছিলেন। ধৃত জানিয়েছে, শ্রমিকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার পর তাদের দেড় হাজার করে টাকা দেওয়া হতো। সবার অ্যাকাউন্টে ১০হাজার টাকা করে পাঠানো হয়েছিল।