শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, প্রায় ২৫ মাস পর গত মঙ্গলবার নিচুপট্টির বাড়িতে পা রাখেন অনুব্রত। শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হলেও তৃণমূলের কর্মী ও অনুগামীদের হতাশ করেননি। বুধবারই দলনিষ্ঠ কেষ্ট বোলপুরের প্রধান দলীয় কার্যালয়ে যান। সেখানে সকলস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। কালীপুজোর পর সক্রিয় হয়ে বীরভূম জেলার প্রতিটি ব্লক ঘুরবেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানান। পাশাপাশি, যাঁরা দেখা করতে চান, তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট সময়ও ঠিক করে দেন। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তিনি দলীয় কার্যালয়ে থাকবেন বলে জানান। সেইমতো বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টেতেই উপস্থিত হন দলীয় কার্যালয়ে। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে সিউড়ি, ইলামবাজার, রামপুরহাট, বোলপুর, দুবরাজপুর, খয়রাশোল ও পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থেকে কয়েকশো নেতা-কর্মী ও সমর্থক ভিড় করেন। তাঁদের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক আলাপচারিতার পর এদিনই প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করলেন অনুব্রত। সেখানে তিনি বলেন, এখন অনেক ভালো আছি। মুখ্যমন্ত্রী বোলপুরে এসেছিলেন, তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। বন্যা কিংবা পুজো সব ক্ষেত্রেই আপনাদের সহযোগিতা কাম্য। মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সভাধিপতি, বিধায়ক সহ সকলস্তরের মানুষকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। মানুষের পাশে থাকব। এখন বৃষ্টি হচ্ছে তারপর দুর্গাপুজো, কালীপুজোর পর বিভিন্ন ব্লকে ঘুরব। আগের মতো কি দেখা যাবে? স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেন, তাহলে কেন কার্যালয়ে আসছি? কেন মানুষের সঙ্গে কথা বলছি? আমি চাই কেউ যেন অশান্তি না করে, সবাই যেন ভালো থাকে। কেউ খুঁচিয়ে দিল, আর বক্তব্য দিয়ে দিলাম, আর নয়। অনেক বক্তব্য দিয়ে দিয়েছি (হাসি)। নিজের শরীর প্রসঙ্গে বলেন, চিকিৎসা করতে কলকাতা যাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
এরপরই পরিবার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সুকন্যা আমার সন্তান। ওকে ১৬ মাস জেল খাটানো হয়েছে। এটা অন্যায় হয়েছে। ও সাধারণ বাড়ির মেয়ে। যাক, এমন কিছু অন্যায় করেছিলাম ঈশ্বরের কাছে, তার পাপের শাস্তি পেয়েছি। এবার থেকে ভেদাভেদ না করে সবাই একসঙ্গে চলব। এটা মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও নির্দেশ। আইন ও বিচার প্রসঙ্গে তিনি তেমন কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কেবল করজোরে বলেন, আইনকে সম্মান করি। কোনও বিতর্কে যাব না। রাজ্যের বন্যা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। অনুব্রত বলেন, খানাকুল, লাভপুর, কীর্ণাহারের সাধারণ মানুষ ভাসছে। কৃষিতে প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।