শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
একসময় উদ্বাস্তু মানুষদের জন্য প্রাথমিক শেল্টার ক্যাম্প হিসেবে কুপার্স ক্যাম্প গড়ে উঠেছিল। পরবর্তী সময়ে গড়ে উঠতে শুরু করে পাকাপাকি বসতি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে ছোটখাটো মফঃস্বল শহরেও পরিণত হয় কুপার্স ক্যাম্প। এই বিবর্তনকে মান্যতা দিয়ে একসময় তৈরি হয় ‘কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েড এরিয়া অথরিটি’। যা কুপার্স ক্যাম্প পুরসভা বলেও পরিচিত। মাত্র ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে গড়ে ওঠা এই পুর এলাকায় হাজার হাজার মানুষের বাস। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত উন্নয়নের ছোঁয়াই পায়নি এলাকাটি। ফলস্বরূপ, এলাকাজুড়ে ভাঙাচোরা রাস্তা, অপর্যাপ্ত নিকাশি ব্যবস্থা, অপ্রতুল স্ট্রিট লাইট, অত্যন্ত নিম্নমানের বর্জ্য নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েই দিন গুজরান করতে হয় কুপার্স ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবেই ক্রমশ দুর্দশা বাড়ছে এই এলাকার। এবার পরিস্থিতি বদলে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।
সম্প্রতি জীর্ণ রাস্তাগুলির মধ্যে দু’টি রাস্তা চিহ্নিত করা হয়েছে। এই রাস্তা দু’টি নতুন করে তৈরি হবে। ব্যায় বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে প্রথম রাস্তাটি তৈরির জন্য বরাদ্দ হচ্ছে ১৩ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা। দু’নম্বর রেলগেট থেকে পাঁচসিকি মোড় পর্যন্ত তৈরি হবে রাস্তাটি। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এই গোটা রাস্তাটি নতুন করে খুঁড়ে তারপর সোলিং করে পিচ ঢালা হবে। জি ব্লক মোড় থেকে ফ্রেন্ডস ক্লাব মোড়— গোটা রাস্তাটি যুক্ত করেছে কুপার্সের ৬ নম্বর ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডকে। প্রথম রাস্তাটির তুলনায় এটি আরও বড়। তাই আর্থিক বরাদ্দও বেশি। খরচ হবে প্রায় ২১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা। ২৭ সেপ্টেম্বর টেন্ডার করা হচ্ছে রাস্তা দু’টির। সবকিছু ঠিকঠাক চললে কাজ শুরু পুজোর পরে। নিকাশি ব্যবস্থার হাল ফেরাতে দু’টি নিকাশি নালাও তৈরি হচ্ছে। তার জন্য প্রায় ২২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে প্রশাসন। রাস্তা দু’টির সঙ্গে নিকাশি নালাগুলির কাজও চলবে। রানাঘাটের মহকুমা শাসক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই রানাঘাটের অনেক রাস্তার অবস্থা খারাপ। সেগুলি উন্নয়নের চেষ্টা করছি। আপাতত আমরা বড় অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করতে পেরেছি কুপার্স ক্যাম্পের দুটি বড় রাস্তা তৈরির জন্য। নিজস্ব চিত্র