শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলী-২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০০বিঘার কাছাকাছি জমিতে ফুল চাষ করেন এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে গাঁদাফুল চাষই বেশি করেন। মেড়তলা, ঝাউডাঙা অঞ্চলের হালতাচড়া, পলাশপুলি প্রভৃতি এলাকায় বেশি ফুল চাষ হয়। গাঁদা, রজনীগন্ধা, গোলাপ সহ বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ হয়। তবে বিভিন্ন প্রজাতির গাঁদা ফুলের চাষ বেশি হয় এই এলাকায়। আর এখান থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ফুল নদীয়া জেলার বেথুয়াডহরি, কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন বাজার, ভিন রাজ্যেও সরবরাহ করে থাকেন চাষিরা। এখানকার প্রায় বেশির ভাগ বাসিন্দাই বিঘার পর বিঘা জমিতে ফুল চাষ করে থাকেন। শুধু তাই নয়, পূর্বস্থলীজুড়ে প্রচুর নার্সারি রয়েছে। সেখানেও লক্ষ লক্ষ গাঁদার চারা তৈরি হয়। ওইসব নার্সারি থেকেই গাঁদার চারা নিয়ে গিয়ে জমিতেও চাষ করা হয়।
ঝাউডাঙা, হালতাচড়া এলাকায় বহু জমিতে গাঁদা ফুলের জমিতে হাঁটু সমান জলের স্রোত বইছে। গাছ পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। তাঁদের বলেন, ঋণ নিয়ে ফুল চাষ করেছিলাম। জল নামতে এখনও কয়েকদিন সময় লাগবে। সব শেষ হয়ে যাবে। কোনও গাছ বাঁচবে না। ঝাউডাঙার ফুলচাষি বীরেন বারুই বলেন, প্রচুর ক্ষতি হল আমাদের। সেটা আর ফিরে আসবে না। গাঁদার জমিতে হাঁটু পর্যন্ত জল জমে গিয়েছে। অপর এক চাষি সহদেব তফাদার বলেন, সব শেষ হয়ে গেল। জলে সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। জমি এখনও ডুবে রয়েছে। প্রহ্লাদ ঘোষ বলেন, এবার পুজোর সময় গাঁদা ফুল নাও মিলতে পারে। এ যা অবস্থা হল তাতে বাইরে থেকে ফুল এনে পুজো করতে হবে। স্থানীয় চাষিরা খেতে পাবে না।-নিজস্ব চিত্র