শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের স্টোরে থাকা বেশকিছু স্যালাইন নিয়মমাফিক বের করে আনা হয়। তারপর সেগুলি ডিস্ট্রিবিউট করে দেওয়া হয় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন স্যালাইন চালিয়েও দেওয়া হয়। সমস্যা দেখা দেয় কিছুক্ষণ পর। যাঁদের এই স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল তাঁদের মধ্যে কিছু রোগী স্বাভাবিক থাকলেও বেশ কয়েকজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। অভিযোগ, স্যালাইন দেওয়ার পর থেকেই তাঁদের কাঁপুনি শুরু হয়। কারও বেশি কারও কম। অনেকের শরীরেই অদ্ভুত এক অস্বস্তি শুরু হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি নজরে আসে হাসপাতালের মেল ও ফিমেল ওয়ার্ডে কর্মরত নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের। তাঁরা দ্রুত চিকিৎসকদেরও জানান। খতিয়ে দেখা যায়, নির্দিষ্ট দু’টি ব্যাচ নম্বরের স্যালাইনে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য সঙ্গে সঙ্গেই ওই দুটি ব্যাচ নম্বরের স্যালাইন দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর হাসপাতালের তরফে গোটা বিষয়টি জানানো হয় জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, যে দু’টি ব্যাচের স্যালাইনের সমস্যা দেখা দিয়েছিল সেগুলি মূলত ‘আর এল’ প্রকৃতির স্যালাইন। অর্থাৎ রিঞ্জার ল্যাকটেট। যা সাধারণ স্যালাইনের থেকে বেশ কিছুটা আলাদা এবং রোগীর রোগ নির্ণয়ের পরেই এই ধরনের স্যালাইন দেওয়া হয়। এদিকে, স্যালাইন বিভ্রাটের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে খবর দেওয়া হয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডকে। সেইমতো বৃহস্পতিবার আনুলিয়ায় রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে এসে পৌঁছন ড্রাগ কন্ট্রোলের কয়েকজন প্রতিনিধি। সূত্রের খবর, তাঁরা হাসপাতালের স্টোরে সরাসরি পৌঁছে যান। ওই দু’টি ব্যাচ নম্বরের স্যালাইনের কয়েকটি বোতল নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে।
ড্রাগ কন্ট্রোলের এক কর্তা বলেন, ‘আমরা নমুনাটি ল্যাবে পাঠাব। তাতে কোনও সমস্যা ধরা পড়লে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যদি রিপোর্ট ঠিক থাকে তা হলে পুনরায় ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হবে। ততদিন পর্যন্ত হাসপাতালের স্টোর থেকে ওই নির্দিষ্ট দু’টি ব্যাচ নম্বরের স্যালাইন ব্যবহার করা হবে না।’
স্যালাইনে সমস্যার কথা স্বীকার করে নেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র দাস। তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানার পরেই ওই নির্দিষ্ট দু’টি ব্যাচের স্যালাইন ব্যবহার বন্ধ করে দিতে বলেছি। কোয়ালিটি কন্ট্রোলে পাঠানো হচ্ছে। ডিআরএসকে বলা হয়েছে। তারা পরীক্ষার পর রিপোর্ট দিক। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে যে দু’টি ব্যাচের আর এল স্যালাইনে সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা জেলার অন্যান্য হাসপাতালেও পাঠানো হয়েছেল। যদিও বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ওইসব হাসপাতাল থেকে কোনও খারাপ রিপোর্ট আসেনি। ফলে বিষয়টি যে খুব চিন্তার, এমনটা অবশ্য মনে করছেন না স্বাস্থ্যকর্তারা। নিজস্ব চিত্র