শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
বাংলাদেশ অশান্ত হওয়ার পর থেকেই ওপার বাংলার বাসিন্দারা নানাভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে বলে খবর আসছে। সীমান্ত লাগোয়া চর এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে সীমানা চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। কোথাও হাঁটু সমান জল আবার কোথাও বুক সমান। এই জল পেরিয়ে রাতের অন্ধকারে ভারতে ঢুকতে খুব একটা কষ্ট করতে হবে না অনুপ্রবেশকারীদের। সাগরপাড়া, রানিতলা ও জলঙ্গি সীমান্তের বেশকিছু জায়গা এখন জলের তলায়। প্রতিদিনই এইসব এলাকায় জল বাড়ছে। চাষের জমি চলে গিয়েছে জলের তলায়। ফলে চাষিরাও জমিতে যেতে পারছেন না। চর এলাকার অধিকাংশ জায়গা জলমগ্ন হওয়ায় রাতের অন্ধকারে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, বৃষ্টির জেরে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সেসময় জলের উপর কচুরিপানা ভাসিয়ে তাতে মাথা লুকিয়ে এপারে চলে আসতে পারে বাংলাদেশিরা। তাই রীতিমতো আশঙ্কায় রয়েছে বিএসএফ। একই সঙ্গে দুষ্কৃতীরা একই কায়দায় চোরাচালানের কাজ শুরু করছে সীমান্তে। সেজন্য নৌকা নিয়ে টহল বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসএফের আধিকারিকরা।
বছরের অন্যান্য সময় বিএসএফ যে সমস্ত চর এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে এখন সেসব জায়গায় কোথাও ভূখণ্ড জেগে নেই। জলে নামলেই ডুবে যেতে হবে। তাই সীমান্তের ধার থেকে উপরে উঠে এসে ভারতের ভুখণ্ডের কিছুটা ভিতরের দিকে ঢুকে এসে পাহারা দিচ্ছে বিএসএফের জওয়ানরা। সেখান থেকে এক নজরে জলের দিকে তাকিয়ে থাকছে তাঁরা। বিএসএফের এক আধিকারিক বলেন, আমরা জলপথে নৌকা করে পেট্রলিং বাড়িয়েছি। প্রতিবার বর্ষার সময় এই সমস্যা হয়। কাঁটাতার না থাকায় ভূখণ্ড জলের তলায় চলে যাওয়ায় সীমান্ত আলাদা করে চিহ্নিত করা যায় না। তবে ওপার থেকে যাতে কেউ এবারে না ঢুকতে পারে সেজন্য কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।
জলাঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য রাকিবুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার আমরা পদ্মা নদী দিয়ে চর এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। জল এত বেড়েছে যে সেখানে সীমানা কিছুতেই পার্থক্য করা যাচ্ছে না। নদী তীরবর্তী মাঠ ও চাষের জমি সব ভাসিয়ে দিয়েছে। চাষের খুব ক্ষতি হয়েছে। সীমানায় বিএসএফ জলপথে পেট্রলিং করছে। এই সময় অনুপ্রবেশ নিয়ে একটা চিন্তা থাকে। আমরাও সীমান্তবর্তী এলাকা গ্রামগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছি। অপরিচিত কোনও ব্যক্তিকে দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিস-প্রশাসনকে জানানো হবে। - নিজস্ব চিত্র