শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
শান্তিপুরের থানামোড় এলাকায় বাড়ি ওই প্রৌঢ় দম্পতির নাম তপন বিশ্বাস ও কমলা বিশ্বাস। বছর তিনেক আগে আগরতলায় বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। সেখান থেকেই ফিরছিলেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বি-১ কামরায় ছিলেন তাঁরা। হঠাৎ বিকট একটা শব্দ। মুহূর্তেই আপার বার্থের উপরে থাকা ব্যাগপত্র হুড়মুড়িয়ে পড়ল নিচে। তপনবাবু, কমলাদেবীর মত বাকি সহযাত্রীরাও এদিকে ওদিকে ছিটকে পড়লেন। গোটা কামরাজুড়ে তখন চিৎকার আর কান্নার আওয়াজ।
কমলাদেবী ফোনে বলছিলেন, ‘আমি তখন সিটে বসেছিলাম। আমার স্বামী জল খাবেন বলে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। কিভাবে কি হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারছি না। আমাদের দু’জনেরই হাত পায়ে ভীষণ যন্ত্রণা রয়েছে। কোন ট্রেনে বাড়ি ফিরব কিছুই জানিনা।’ কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসছিল কমলাদেবীর। মোবাইল ফোনটি তুলে দিলেন স্বামীর হাতে। তপনবাবু বলছিলেন, ‘দুর্ঘটনার পর শারীরিক যন্ত্রণা নিয়ে বাকি সহযাত্রীদের সঙ্গে জিনিসপত্র নিয়ে কোনওরকমে নিচে নেমে আসি। সামনেই একটি অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্পে আমাদের নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। এরপর একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়। আমার বাঁহাতে আর পায়ে যন্ত্রণা রয়েছে। ওই বিকট শব্দটা এখনও কানে বাজছে।’ কীভাবে বাড়ি ফিরবেন? তপনবাবু বলেন, ‘জানি না। আমাদের কেউ কিছুই বলেনি। আমাদের কামরায় কলকাতার কিছু পড়ুয়া ছিল। ওদের সঙ্গেই যেভাবেই হোক রাতের ট্রেন ধরে আমরা বাড়ি ফিরব। পরিবারের সকলেই উৎকণ্ঠায় রয়েছে।’ জখম যাত্রীদের বাড়ি ফেরানো নিয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, এনজেপি থেকে শিয়ালদহ ফেরার অন্য ট্রেন ধরতে হবে। কোনও ধরনের সমস্যা হলে স্টেশন ম্যানেজার ও রেলের আপৎকালীন হেল্প ডেস্ক রয়েছে। সেখানে যোগাযোগ করতে হবে। জখম যাত্রীদের অবশ্য অভিযোগ, রেলকর্তৃপক্ষ এমন সাফাই না দিয়ে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত জখম যাত্রীদের সুষ্ঠুভাবে বাড়ি ফেরাতে বিকল্প ট্রেনের ব্যবস্থা করতেই পারত। নিজস্ব চিত্র