শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
গত শুক্রবার খয়রাশোলে একাধিক ব্যক্তির নামে থাকা এটিএম কার্ড, মোবাইল সমেত এক যুবককে পাকড়াও করে পুলিস। ধৃতের নাম সজল গোপ। জামতাড়া জেলার বাগডহরি থানার মুরাবেরিয়া গ্রামে তার বাড়ি। সে খয়রাশোলের বিভিন্ন এটিএম থেকে টাকা তুলেছিল। প্রতিটি এটিএম কার্ডই অন্যের নামে। তিনটি মোবাইল ফোন সমেত এটিএম থেকে তোলা সাড়ে ৪৭ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। ওই যুবকই পর্দাফাঁস করে মূল রহস্যের। জামতাড়ার নামী সব মাস্টারমাইন্ডের হয়ে সে কাজ করত বলে স্বীকার করে নেয়। একইভাবে রবিবার রাজনগরেও এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিস। ধৃতের নাম নাজির আহমেদ। স্থানীয় মুরগাথলি এলাকায় সে থাকত। যদিও তার আদি বাড়ি জামতাড়ার ফতেপুরে। সেও সিউড়ির একটি সাইবার ক্যাফের সঙ্গে যোগাযোগ করে বেশ কয়েকবার জালিয়াতি করে হাতানো টাকা তুলেছিল। পুলিসের নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে। জানতে পারে, সেও কমিশনের ভিত্তিতে জামতারার মূলমাথাদের হয়ে কাজ করত। পুলিস এমন একাধিক ঘটনা থেকে বুঝতে পারছে, বীরভূমে কীভাবে ধীরে ধীরে জাল বিস্তার করেছে জামতাড়া গ্যাংয়ের প্রতারকরা।
পুলিস সূত্রে জানা যায়, ব্যাঙ্ক জালিয়াতি করে যেসব টাকা তারা হাতায়, তা ঝাড়খণ্ডের ওইসব এলাকা থেকে কেউ তোলে না। সীমানা ঘেঁষা পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলা থেকে টাকা তোলা হয়। এর মধ্যে বীরভূম অন্যতম। সিউড়ি, রাজনগর, লোকপুর, খয়রাশোল এসব এলাকা থেকেই সহজেই এটিএম থেকে তারা টাকা তুলে ঝাড়খণ্ডে নিয়ে যায়। এই টাকা তোলার জন্য জেলাতে এজেন্ট নিয়োগ করেছে ওই গ্যাংয়ের মূলমাথারা। এছাড়াও আরও কয়েকটি টিম এই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। একদল কোনওভাবে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ডকুমেন্টস জোগাড় করে। অন্যদল আবার সেই ডকুমেন্টস ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপ খুলে ফেলে। এভাবে বেশ কয়েকটি ধাপে টাকা হাতিয়ে নেওয়া তাদের প্রধান কাজ। তারপর এইসব জালিয়াতির টাকা নিজেদের অ্যাকাউন্টে না নিয়ে ওইসব মোবাইল ব্যাঙ্কগুলিতে নেওয়া হয়। আর তারপরই বিভিন্ন এটিএম থেকে সেই টাকা তোলার কাজ করে এজেন্টরা। ২৫ হাজার টাকা এটিএম থেকে তুলে দিতে পারলে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত কমিশন মিলে। সেই লোভেই জেলার অনেকেই এই কাজ করতে শুরু করেছে বলে প্রমাণ মিলছে। পুলিস সেই সব এজেন্টকে ধরতেই নানাভাবে জাল বিছিয়েছে।