শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর কেন্দ্রে পিয়া সাহাকে প্রার্থী করা নিয়ে বিজেপির মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল। বোলপুর কেন্দ্রে সেভাবে প্রচার করতেও দেখা যায়নি প্রার্থী বা বোলপুর সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বকে। এমনকী নির্বাচনের দিনও ভোট কেন্দ্রে সেভাবে দেখা যায়নি তাঁদের। গণনার দিন কিছুক্ষণের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যায়, বিপুল ভোটে পরাজিত হতে চলেছেন বিজেপি প্রার্থী। তারপর আর খুঁজে পাওয়া যায়নি প্রার্থী ও অন্যান্য নেতাদের। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও বোলপুরে বিজেপির কার্যালয়ে টাকার হিসেব নিয়ে কর্মী ও কার্যকর্তাদের মধ্যে অশান্তি হয়। তারপরই রবিবার বোলপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় আর্থিক তছরূপের অভিযোগে জেলা নেতৃত্বকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান হল। যে সমস্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকরা এই বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন তাঁদের অভিযোগ, বুথস্তরের কর্মীদের জন্য, পোলিং এজেন্টের জন্য, নির্বাচনে প্রচারের জন্য যে টাকা দেওয়া হয়েছিল তা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন জেলার কয়েকজন পদাধিকারী। ফলপ্রকাশের পর বা তার আগে বোলপুর কেন্দ্রে রাজনৈতিক হিংসার শিকার বিজেপি কর্মীদের পাশেও দাঁড়াতে দেখা যায়নি জেলা নেতৃত্বকে।
বিক্ষোভকারী বিজেপি কার্যকর্তা ধর্মা রজক বলেন, নির্বাচনে প্রত্যেক বুথে খরচ করার জন্য দেওয়া টাকা এই কয়েকজন আত্মসাৎ করেছেন। আমরা জানতে পেরেছিলাম এদিন জেলা সভাপতি ও নগর মণ্ডল সভাপতি নিজেরা সেই টাকা ভাগাভাগি করতে বসছেন। তাই আমরাও তাঁদের কাছে নির্বাচনের জন্য দেওয়া টাকার হিসেব নিতে যাই। কিন্তু তাঁরা হিসেব দিতে পারেননি। আমরা চাই, যারা এমন কাজ করেছে তাঁদের শাস্তি হোক ও দল থেকে সাসপেন্ড করা হোক।
সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডলের দাবি, তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি আমাদের দলীয় ব্যাপার। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
বীরভূম জেলার তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ বলেন, আমরা নির্বাচন ঘোষণা হতেই বলেছিলাম আমাদের প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। সেটাই হয়েছে। বিজেপির পায়ের তলার মাটি নেই, তাদের সংগঠনও নেই। নিজস্ব চিত্র