শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
শনিবার রাতে তারাপীঠ মহাশ্মশান থেকে বছর ছত্রিশের নিরঞ্জন দাস নামে ওই সিভিকের দেহ উদ্ধার হয়। বছর সাতেক আগে স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে বাপের বাড়ি সাঁইথিয়া চলে যান। তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও চলছে। কিন্তু ভালোবাসার মানুষকে সংসারে ফিরিয়ে আনতে নানা চেষ্টা চালায় ওই যুবক। অবশেষে তারাপীঠ মহাশ্মশানে এক তন্ত্রসাধকের কাছে আসেন তিনি। রাতে সেই শ্মশান থেকেই নিরঞ্জনের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের ভাই পল্টু দাসের দাবি, তাঁর দাদাকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে।
পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে খুন, না কি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু, তা সোমবার রাত পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি। তদন্তকারীদের বদ্ধমূল ধারণা, স্ত্রীকে বাড়ি ফেরাতে নিরঞ্জন যে তান্ত্রিকের শরণ নিয়েছিলেন, তার নাগাল পেলে তদন্তের জাল অনেকটাই গুটিয়ে আনা সম্ভব। সেক্ষেত্রে তান্ত্রিকের নাম সম্বলিত ওই ফর্দটিকে মোক্ষম সূত্র হিসেবে কাজে লাগাতে চাইছে পুলিস। সেটি মৃতদেহের পাশেই পড়েছিল। তাতে লেখা—আগে শাশুড়ির কাজ হবে। তারপর বউ বাচ্চার। আর এই কাজের ব্যাপারে কাউকে বললে ফল নষ্ট হবে। আর এই সাধনার সময় সঙ্গে নিতে হবে লাল কাপড়, জলের বোতল, ধূপকাঠি ও দেশলাই। তান্ত্রিকের দেওয়া ফর্দ মেনেই তন্ত্র সাধনায় নিরঞ্জন অংশ নিয়েছিলেন বলে বলে পুলিস একপ্রকার নিশ্চিত। কারণ, তাঁর জামার পকেট থেকে একটি লাল কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে শ্মশানে সিসি ক্যামেরা না থাকলেও বাইরে রয়েছে। সেই ফুটেজে নিরঞ্জনকে ধূপকাঠি কিনতে একটি দোকানে যেতে দেখা গিয়েছে। পুলিস ওই দোকানের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। শ্মশানের অন্যান্য সাধুসন্তদের কাছেও তান্ত্রিকের পরিচয় জানার চেষ্টা করে। কিন্তু কেউই তার সন্ধান দিতে পারেননি। তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘শ্মশানে হোমযজ্ঞ করতে গেলে পুলিসের অনুমতি লাগে। ফলে ওই তন্ত্রসাধকের তথ্য পুলিসের কাছেই থাকবে।’ যদিও রামপুরহাট মহকুমা পুলিস আধিকারিক গোবিন্দ সিকদার বলেন, ‘যারা হোমযজ্ঞ করেন তাঁদের সঙ্গে থানার পরিচয় রয়েছে। এটা বাইরের কোনও টিম।’ আবার শ্মশানে হোমযঞ্জ করতে শ্মশান কমিটির কাছ থেকে রসিদ কাটতে হয়। যদিও কমিটির পক্ষে ছোটন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের কাছে ওই নামে কোনও রসিদ কাটা হয়নি। তাছাড়া প্রতিদিনই শ্মশানে বহু হোমযজ্ঞ হয়। কতজনের খোঁজ রাখব।’ তারাময়বাবু বলেন, ‘রাত ন’টার পর ফাঁকা হয়ে যায় শ্মশান। সেই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে অসাধু মানুষজন।’