শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার অভিজিৎবাবু বাঁকুড়ায় দিদিমার শেষকৃত্য সেরে দুর্গাপুরের বাড়ি ফিরছিলেন। মাঝ রাতে একাই বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বড়জোড়ার দেজুড়িতে উল্টোদিক থেকে আসা একটি বালিবোঝাই ডাম্পারের সঙ্গে অভিজিৎবাবুর বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মুহূর্তের মধ্যেই বাইক ও ডাম্পারে আগুন লেগে যায়। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে বাইক। তাতেই দগ্ধ হন অভিজিৎবাবু। বড়জোড়া থানার টহলদারি পুলিস ভ্যান ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারের চেষ্টা করে। কিন্তু, আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় পুলিস অভিজিৎবাবুকে উদ্ধার করতে পারেনি। খবর দেওয়া হয় দমকলে। একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আইনজীবীকে উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে ঘটনার পরই সেখান থেকে পালিয়ে যায় ডাম্পারের চালক ও খালাসি। তারা জখম হয়েছে কি না তা পুলিস নিশ্চিত করে বলতে পারেনি।
বাঁকুড়ার পুলিস সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, দুর্গাপুরগামী বাইকের সঙ্গে উল্টোদিক থেকে আসা ডাম্পারের সংঘর্ষ হয়। ধাক্কা লাগায় ঘর্ষণের জেরে আগুন লেগে যায় বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিস বাইক চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। বাইক ও ডাম্পার দু’টিই আগুনে পুড়ে গিয়েছে। ডাম্পারের চালক ও খালাসির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিজিৎবাবুর পরিবারে তাঁর মা, বাবা, স্ত্রী সহ বছর তিনের এক পুত্রসন্তান রয়েছে। ওইদিন আইনজীবী বাঁকুড়া এসেছিলেন তাঁর দিদিমার শেষকৃত্যতে যোগ দিতে। দিদিমার শেষকৃত্য সম্পূর্ণ করে গভীর রাতে বাইকে করে দুর্গাপুর ফিরছিলেন। দেজুড়ি মোড়ের কাছে বাঁকুড়ামুখী একটি ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে ধাক্কা মারে। অভিজিৎবাবু বাইক সহ ডাম্পারের নীচে ঢুকে যান। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে বাইক ও ডাম্পারটি। সেই আগুনেই ঝলসে যান অভিজিৎবাবু। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি। ঘটনার জেরে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা কেউই কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবী দেবব্রত সাঁই বলেন, অভিজিৎ সব সময় হাসিখুশি থাকত। সকলের সঙ্গে মিশত। আমাদের স্নেহের ভাই ছিল অভিজিৎ। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তাঁকে হারাতে হবে ভাবতে পারিনি। তাঁর এই পরিণতি কেউই মেনে নিতে পারছেন না। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।