শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
আইআইটি সূত্রের খবর, মৃত ছাত্রীর নাম দেবিকা পিল্লাই (২১)। আইআইটির বায়ো সায়েন্স ও বায়ো টেকনোলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া দেবিকা। তাঁর বাড়ি কেরলের ছেপড় থানার উত্তর এভুর এলাকায়। ২০২১ সাল থেকে আইআইটিতে পড়াশোনা করছেন তিনি। আইআইটি কর্তৃপক্ষ একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, দেবিকা মেধাবী ছিলেন। পাশাপাশি সরোজিনী নাইডু ও ইন্দিরা গান্ধী হস্টেলের কালচারাল সেক্রেটারিও ছিলেন। বর্তমানে তাঁর নিজের বিভাগেরই এক অধ্যাপকের অধীনে গ্রীষ্মকালীন ইন্টার্নশিপ করছিলেন তিনি। তবে এই রহস্যমৃত্যু নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের দাবি, ওই পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিস সূত্রের খবর, দেবিকার হস্টেলের ঘর থেকে একটি ডায়েরি পাওয়া গিয়েছে। সেই ডায়েরিতে নিজের জীবনের দুঃখের কথা লিখেছেন দেবিকা। বাবা-মায়ের ভালো মেয়ে হয়ে উঠতে না পারার কাহিনি লেখা রয়েছে ডায়েরিতে। তারিখ বিহীন সেই লেখাগুলো সাম্প্রতিক কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিস। তবে, এই ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন দেবিকার হস্টেলের অন্যান্য আবাসিকরা। তাঁদের দাবি, শুক্রবার পর্যন্ত দেবিকার আচরণে অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করা যায়নি। শনিবার ও রবিবার ছুটি ছিল। তারপর সোমবার সকালের এই ঘটনায় হতবাক সকলেই।
তবে, আগে আইআইটিতে যে কোনও মৃত্যুর ঘটনাকেই যেভাবে আত্মহত্যা বলে দেওয়া হতো, ফাইজানের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সে ব্যাপারে সাবধানী পুলিস ও আইআইটি কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর খড়্গপুর আইআইটির হস্টেল থেকে উদ্ধার হয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ফাইজান আহমেদের (২৩) পচাগলা দেহ। ঘটনাকে প্রথম থেকেই আত্মহত্যা বলে পুলিস দাবি করে এলেও সম্প্রতি দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ও গুলি করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে ফাইজানকে। এই ঘটনায় মুখ পোড়ে পুলিসের। প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় আইআইটি কর্তৃপক্ষকেও। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিন ময়নাতদন্তের আগে দেবিকার দেহে কোথাও কোনও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কি না, তার সম্পূর্ণ ভিডিওগ্রাফি করা হয় খড়গপুর হাসপাতালে। তারপর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠায় পুলিস।
এদিকে, দেবিকার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে এদিনই কেরল থেকে ছুটে আসেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর মা। তবে, কেন বারংবার আইআইটির মতো নামজাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একের পর এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। গত বছর অক্টোবরেও কে কিরণ চন্দ্র নামে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি ছিল, পড়াশোনা ও প্রজেক্ট নিয়ে আইআইটির অত্যধিক চাপের কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন কিরণ। তারপর দেবিকার মৃত্যু। চিন্তিত শিক্ষামহল।