শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
যদিও মুর্শিদাবাদের লিচু চাষিদের দাবি, এই জেলার লিচুতে খুব একটা রঙের ব্যবহার করতে হয় না। তবে বিহারের কিছু লিচুতে রঙের ব্যবহার হয় বলে তাঁরা জানাচ্ছেন। কিন্তু কী পদ্ধতিতে এই রং করা হয়? চাষিরা বলছেন, গাছে থাকা অবস্থায় লিচুর রং না এলেও বৃষ্টির ভয়ে তাড়াতাড়ি পেড়ে নেন অনেক চাষি। সেই সবুজ ও হালকা হলদেটে রঙের লিচুর স্বাদ যাই হোক না, দাম সেরকম মেলে না। তাই গাছ থেকে লিচু পাড়ার আগে লিচুতে ছড়িয়ে দেওয়া হয় রঙের আভা। রাতারাতি রং বদলে লিচু হয়ে ওঠে লাল বা লালচে গোলাপি। সাধারণত যে রং লিচুতে ব্যবহার করা হয়, তা মেটাল অক্সাইড। কপার, ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়ামের মতো ক্ষতিকর ধাতু থাকে এই রঙে। যা পেটে গেলে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত তিন ধরনের ক্ষতিকর রং লিচুতে মেশানো হয়। রেড অক্সাইড, রোডামাইন-বি এবং কঙ্গো রেড। এই অপ্রাকৃতিক গাঢ় রং ধীরে ধীরে শরীরে গিয়ে সর্বনাশ ঘটাচ্ছে পাচনতন্ত্রে। অজান্তেই ক্ষতি হচ্ছে লিভার ও কিডনির। এমনকী নিয়মিত এই রং পেটে গিয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে বলেই মত চিকিৎসকদের একাংশের।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের কয়েকজন চিকিৎসক একই কথা বলেন। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন এক নাগাড়ে লিচুর এই ক্ষতিকারক রং শরীরে প্রবেশ করতে থাকলে তা লিভারের ক্ষতি করে। তার সঙ্গে অনেকের পেটে যন্ত্রণা হতে পারে। নিয়মিত এই রং পেটে গেলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও থেকে যায়। লিচুর কোয়ালিটি কন্ট্রোল দরকার। ফুড সেফটি বিভাগ এবং বাজারে নজরদারির জন্য যে সমস্ত সংস্থা আছে, তাদের আরও তৎপর হতে হবে। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, নিজেদের সুরক্ষার জন্য লিচু খাওয়ার আগে নিদেনপক্ষে গরম জলে ধুয়ে নিলে এই রঙের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। বাজার থেকে লিচু কেনার সময় একটু দেখে কিনলে, রং ছাড়া লিচু কেনা যেতে পারে।
ফরাক্কার এক লিচু চাষি আজিজুল শেখ বলেন, আমাদের জেলায় লিচুতে রং মেশানোর প্রয়োজন হয় না। তবে বিহার ও মালদহেব বেশকিছু অংশে শুরুর দিকে লিচুতে রং ধরে না। সেকারণে বাজারে দাম পাওয়ার জন্য গাছ থেকে পাড়ার ঠিক দু’দিন আগে লিচুতে রঙের স্প্রে করা হয়। সুন্দর লালচে গোলাপি রঙের লিচু দেখলেই লোভ লাগবে। ফলে অনেকেই অসাধু উপায়ে লিচু রং করেন। নিজস্ব চিত্র