বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
ডোমকল পুরসভা থেকে কিছুটা দূরে পিচ রাস্তার ধারেই কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করছিলেন জাহানারা বিবি, স্বপ্নম খাতুন। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাঁরা বাক্যবাণে বিদ্ধ করছিলেন। তাঁরা বলেন, আমরা যুগের পর যুগ ধরে এখানে বসবাস করছি। এক কাঠা জমি নেই। কোনওরকমে একটু জমি কিনে বাড়ি করেছি। দিন মজুরি খেটেই সংসার চলে। কাজ বন্ধ রেখে কীভাবে এখানে কাগজপত্র তৈরি করব। বলছে নাকি জন্ম সার্টিফিকেট দরকার। সেই সব আমরা কোথায় পাব। যুদ্ধের সময় আমাদের বেশকিছু আত্মীয় জলঙ্গিতে এসেছে। ওদের তো কিছুই নেই। তা হলে কী করবে। এতদিন দেশে থাকার পর আবার সেদেশে ফিরে যেতে হবে। এটা কখনওই মেনে নেওয়া যাবে না।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ’র প্রতিবাদে পথে নেমেছেন ডোমকলের সাদ্দাম হোসেন, হুমায়ন কবীর। সাদ্দাম বলেন, গ্রামের পর গ্রামজুড়ে কীভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে তা বলে বোঝানো যাবে না। ভবিষ্যৎ নিয়ে সবার মনে ভয় ঢুকে গিয়েছে। কাজে মন আসছে না। আগামী দিন কী হবে কিছুই বুঝতে পারছি না। সীমান্তে সারা বছর লড়াই করে বাঁচতে হয়। তারপরে ওই বিল পাশ হওয়ার পর কারও মন ভালো নেই।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামে গিয়ে চোখে পড়ল আতঙ্কের বাতাবরণ। সিএএ নিয়েই পদ্মা পাড়ে পাড়ায় পাড়ায় চর্চা চলছে। আতঙ্কের ঢেউ পদ্মার ওপারেও পড়েছে। রানিনগরের এক বাসিন্দা বলেন, সীমান্ত পেরিয়ে প্রায়ই দু’দেশের লোকজন আসা যাওয়া করে। সব জায়গায় কাঁটাতার নেই। ওপার থেকে সবাই যে এপারে খারাপ কাজের জন্য আসে এমনটা নয়। কাহারপাড়ার সীমান্তের কাছে দাঁড়িয়ে আঙুল তুলে ওই ব্যক্তি বলেন, ওই যে ৫০০ মিটার দূরে যেখানে মোষ চরছে সেটাই বাংলাদেশ। ওরা যেমন মাঠে গোরু, মোষ নিয়ে আসে তেমনই আমরাও যাই। বহু দিন ধরেই এমনটা হয়ে আসছে। খারাপ কাজের জন্য কেউ গ্রামে এলে বাসিন্দারাই বিএসএফকে খবর দেয়। সিএএ-র পর দু’পাড়ের বাসিন্দারাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। অনেকে চিন্তায় রাতে ঘুমোতেও পারছেন না। গ্রামগুলির যেকোনও প্রান্তে কান পাতলেই সিএএ শব্দটাই যেন বারবার প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।