পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা ... বিশদ
শনিবার শেষ হল কোচবিহার রাসমেলা। উত্তরবঙ্গের অন্যতম পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী মেলার শেষ দিন কার্যত ছিল জনসমুদ্র। গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের ঢল দেখল রাজার শহর। রাত বারোটাতেও ‘মেলাবাড়ির’ পথে অজস্র মানুষ। মেলা প্রাঙ্গণে চলল কেনাবেচা, খাওয়া, আনন্দ।
প্রতিবারই শেষের কয়েকদিন তুমুল ভিড় হয় রাসমেলায়। সেই মতো শনিবার সকাল থেকেই রাসমেলা অভিমুখে সারি সারি মানুষ। বেলা গড়াতেই তা বেড়ে গেল আরও। বিকাল পেরোতেই মদনমোহনবাড়ির সামনের রাস্তা থেকে ছিল জন প্লাবন। শহর আর জেলা তো বটেই ভিন জেলা, এমনকী অসম থেকেও এদিন রাসমেলায় আসেন প্রচুর মানুষ। মেলার শেষ দিনে শিলিগুড়ি থেকে দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মেলায় এসেছিলেন পূরবী সেনগুপ্ত। দোকানে কেনাকাটার ফাঁকতালে জানালেন, রাসমেলা তাঁর কাছে প্রাণের মেলা, সেই টানেই প্রতিবছর ছুটে আসার চেষ্টা করেন। একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার থেকে আসা অনেকে। মেলায় ঢোকার আগে আবালবৃদ্ধবনিতা মদনমোহন মন্দিরে এসে মদনমোহনকে দর্শন করে রাসমেলায় গিয়েছেন। এদিন দুপুরে মন্দিরে গিয়ে দেখা গিয়েছে, হাজার হাজার মানুষের ভিড়। রবিবার মদনমোহন মন্দিরের গর্ভগৃহে চলে যাবেন। তার আগে কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর মদনমোহনকে দর্শনের আকুতি ছিল ব্যাপক। এবার মেলায় প্রথম থেকে পর্যাপ্ত বিক্রিবাটা না হলেও শেষ কয়েকদিনের ব্যাপক ভিড়ে তা বেড়েছে অনেক। টমটম বিক্রেতা রবি বর্মন, চপ বিক্রেতা সুরজ রায়দের মতো সকলে জমিয়ে ব্যবসা করেছেন। মেলায় প্রায় ১৫০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে বলে কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির অনুমান। কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুরজকুমার ঘোষ বলেন, এদিন মেলায় প্রচুর ভিড় ছিল। প্রশাসন রাত ১২টা পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছে। কিন্তু গভীর রাত পর্যন্ত রাসমেলায় মানুষ ছিলেন। শেষ তিনদিনের ভিড়ে ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও বিক্রিতে সামাল দিতে পেরেছেন। প্রায় ১৫০ কোটি টাকার কেনাকাটা হয়েছে।
শেষ রাতে মদনমোহন মন্দিরের সামনে থেকে শুরু করে জেনকিন্স মোড়, এবিএন শীল কলেজের দিক, বা হাসপাতালের দিক, পুরো সিলভার জুবিলি রোড ছিল ভিড়ে ঠাসা। রাত যত গড়িয়েছে, ভিড় বেড়েছে ততই। আর মনে আশা নিয়ে, দেখা হবে আবার। এই মাঠে। -নিজস্ব চিত্র।