পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা ... বিশদ
তবে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের পাল্টা দাবি, সরকারি দপ্তরে নীল-সাদা রং করতে হবে এমন কোনও লিখিত নির্দেশ নেই। প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে মালদহ উত্তর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
রং বদলের ঘটনায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ওই পঞ্চায়েতের নির্বাচিত তৃণমূল সদস্যদের পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্ব। ভাবুক অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি দিলীপ হেমব্রম বলেন, এই পঞ্চায়েতের রং রাজ্যের অন্যান্য সরকারি দপ্তরের মতো নীল-সাদা ছিল। আচমকা গেরুয়া করে দেওয়া হয়েছে। আসলে দপ্তরকে নিজেদের দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করতে চাইছে বিজেপি। আমরা নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছি। নীল-সাদা রং ফেরানো না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভাবুক বরাবরই বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। গত লোকসভা নির্বাচনে এই অঞ্চলে ভালো ফল করেছিল গেরুয়া শিবির। ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলাজুড়ে তৃণমূলের জয়ের রথ থমকে গিয়েছিল এই অঞ্চলেই। পঞ্চায়েতের ১৯ টি আসনের মধ্যে বিজেপি দখল করেছিল ১১টি। অন্যদিকে ৭ জন নির্বাচিত সদস্য নিয়ে তৃণমূলকে বসতে হয়েছিল বিরোধী আসনে। একটি আসনে জয়ী হয়েছিলেন নির্দল প্রার্থী। নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতল পঞ্চায়েত ভবনের বাইরে তো বটেই, অন্দরেও এখন উজ্জ্বল গেরুয়া রঙের প্রলেপ দিয়েছে বোর্ড।
পঞ্চায়েত প্রধান তথা বিজেপি নেতা প্রভুনাথ দুবের মন্তব্য গেরুয়া কোনও রাজনৈতিক রং নয়। জাতীয় পতাকায় সবচেয়ে ওপরে এই রং রয়েছে। পঞ্চায়েত ভবন নীল-সাদা করতে হবে এমন কোনও লিখিত নির্দেশ আমাদের কাছে নেই। আমরা কোনও ভুল করিনি।
এপ্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। দ্রুত ওই পঞ্চায়েত ভবনে নীল-সাদা রং ফেরানো হবে। কীভাবে অন্য রং করা হয়েছে, সেটাও খতিয়ে দেখব আমরা। - নিজস্ব চিত্র