সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
অভিযোগ উঠেছিল, কোনও অনুমতি ছাড়াই ময়নাগুড়ির মাধবডাঙা এলাকায় রমরমিয়ে চলছিল পানীয় জলের বেআইনি কারবার। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী রণদীপ সেন ভূগর্ভস্থ অনুমতি না নিয়ে জল তুলে কারবার করছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকি অপরিচ্ছন্ন স্থানে তিনি ফ্যাক্টরি গড়ে তুলেছিলেন। এমনই অভিযোগ পেয়ে প্রশাসনিক কর্তারা মাধবডাঙায় অভিযান চালায়। অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন কাগজপত্র দেখাতে বলেন আধিকারিকরা। কিন্তু, তিনি কোন কাগজই দেখাতে পারেননি। এরপরই সিল করে দেওয়া হয় সেই জলের ফ্যাক্টরি।
রণদীপ সেন স্বীকার করে নিয়েছেন, তাঁর কাছে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আর কোনও কাগজ নেই। অথচ, জল তোলা, পরিশোধন করে বিক্রির জন্য দরকার সরকারি ছাড়পত্র। উপযুক্ত পরিকাঠামো দরকার। কিন্তু সেই সব ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ময়নাগুড়ি শহর ও গ্রামীণ এলাকায় একাধিক জলের প্লান্ট চলছিল। ব্যবসায়ীরা কুড়ি টাকা করে এই জলের জার বাড়ি বাড়ি বিক্রি করছেন। অথচ এভাবে জল বিক্রির অনুমতিও তাদের কাছে নেই বলেই খবর। তেমনই ভূগর্ভ থেকে জল তোলারও কোন অনুমতি নেই। এমন অভিযোগ উঠতেই তৎপর হয়েছে ময়নাগুড়ি থানা। বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি শহরের সুভাষ নগর এলাকায় এমনই এক জলের ফ্যাক্টরি সিল করে দেয় ময়নাগুড়ি থানার পুলিস। সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
বিডিও প্রসেনজিৎ কুণ্ডু, আইসি সুবল ঘোষ বলেন, একজন ব্যবসায়ীকে সোমবার সমস্ত কাগজপত্র দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে মাধবডাঙা এলাকার জলের ফ্যাক্টরি সিল করে দেওয়া হয়েছে। কারণ তার কাছে কোনও কাগজ নেই। সমগ্র ময়নাগুড়ি শহর ও গ্রামীণ এলাকা জুড়ে প্রতিনিয়ত এমন অভিযান চলবে।
-নিজস্ব চিত্র