সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
পূর্তদপ্তর সূত্রে খবর, ওই রাজ্য সড়কের দশ কিমি অংশের সংস্কার চলছে। তাতে তিনটি কালভার্ট সহ নালা নির্মাণও ধরা রয়েছে। ওই প্রকল্পের জন্য প্রায় ১৪কোটি টাকা হয়েছে। আশাপুরে সড়কের ধারে ২৫০মিটার নালা নির্মাণ চলছে। সেই কাজে গতি নেই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজ শুরুর ছ’মাস পেরিয়ে গেলেও নালা নির্মাণ শেষ করা যায়নি। কাজ যে অত্যন্ত স্লথ হচ্ছে,সেটাই প্রমাণ। নিকাশি নালা তৈরি না হওয়ায় স্ট্যান্ড এলাকায় জল জমে থাকছে। সেই নোংরা জল পেরিয়ে সাধারণ মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে। নালা নির্মাণের জন্য যে গর্ত করা হয়েছে, তাতে কাঠের গুঁড়ি ফেলে শক্তিহার আশাপুর প্রাইমারি স্কুলে ঢুকছে পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের এই সমস্যা নিয়ে প্রধান শিক্ষক বিবেকানন্দ মোহন্ত বলেন, আমার স্কুলে ২১৮ জন পড়ুয়া রয়েছে। ছুটির সময় ওদের আমরাই পারাপার করিয়ে দেই। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
এদিকে চাঁচল মহকুমা পূর্তদপ্তরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল সরকারের বক্তব্য, রাস্তা সংস্কার ও কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে নালা নির্মাণের জন্য কিছু অস্থায়ী নির্মাণ থাকায় কাজে বেগ পেতে হচ্ছিল। তা ভেঙে এখন কাজ চলছে।
এদিনের অবরোধ নিয়ে আশাপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জহুর আহমেদের অভিযোগ, ঠিকাদারের গাফিলতিতে সঠিক সময়ে কাজ শেষ হচ্ছে না। মানুষের সমস্যা হওয়ায় এই আন্দোলন। ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কল্যাণকুমার সাহা বলেন, এখানে শতাধিক দোকান ও বড় একটি বাজার রয়েছে। রাস্তায় জল জমে যাওয়ায় মানুষ আসতে পারছেন না। ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। বিক্ষোভকারী বাসিন্দা মনোয়ারুল হকের দাবি,এই রুট দিয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার সরকারি ও বেসরকারি পণ্য ও গণপরিবহণ চলাচল করে। জলকাদা থাকায় যাত্রীরা সেখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে পারেন না। দ্রুত নালা নির্মাণের কাজ শেষ করা হোক।